১১ মাস পর ওমরাহর দুয়ার খুলছে
ওমরাহ ভিসার আড়ালে বাংলাদেশ থেকে মানবপাচার হচ্ছে- এমন অভিযোগ এনে ২০১৫ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশিদের ওমরাহ ভিসা দেয়া বন্ধ রেখেছিল সৌদি আরব। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যবস্থা নেয়ায় ডিসেম্বরে বাংলাদেশিদের জন্য ওমরাহ করার দরজা ফের খুলে দেয় সৌদি সরকার। আর সে অনুযায়ী দীর্ঘ ১১ মাস পর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওমরাহ ভিসায় সৌদি যাচ্ছেন দুজন বাংলাদেশি।
আজ মধ্যরাতে এ দুজনের সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে যাত্রার মধ্যদিয়ে ১৬ জন বাংলাদেশি ওমরাহ হজযাত্রীর সৌদি গমনপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
বাংলাদেশিদের ওমরাহ পালনে সৌদি সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে ঢাকার সৌদি দূতাবাস আবার আগের মতো ওমরাহ ভিসা দিতে শুরু করে। দীর্ঘদির পর আবার ওমরাহর দ্বার উন্মুক্ত হওয়ায় খুশি অনেকে।
আজ মধ্যরাতে যে দুজন ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরব যাচ্ছেন তারা যাচ্ছেন এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ই কে-৫৮৫১ বিমানে। মোট ১৬ জনের বাকি ১৪ জন যাবেন ২২ ফেব্রুয়ারি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ওমরাহ এজেন্সির মালিক জানিয়েছেন, ১৪ শতাধিক ওমরাহ এজেন্সির লাইসেন্স ও নবায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়নি। এসব বৈধ এজেন্সির নামের তালিকাও প্রকাশ করা হয়নি। ফলে এজেন্সির মালিকরা আশকোণা হজ অফিসের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক হজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারছে না। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি হাজি ক্যাম্পসহ সারাদেশের ইউপি কেন্দ্রে, পৌরসভা তথ্য কেন্দ্রে হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এজেন্সিগুলোর নবায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন না হলে তারা হজ অফিসের সাথে চুক্তিও সম্পন্ন করতে পারছে না। এ নিয়ে ওমরাহ এজেন্সিগুলোর মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
সৌদি সরকার বাংলাদেশিদের ওমরাহ ভিসা দেয়াতে নিষেধাজ্ঞা জারির আগে অভিযোগ ছিল, শতাধিক এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবে গিয়ে ১০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি আর ফিরে আসেননি। আর এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই গতবছরের মার্চে বাংলাদেশকে ওমরাহ ভিসা দেয়া বন্ধ করে দেয় সৌদি সরকার। ফলে ওই সময় থেকে বাংলাদেশ থেকে কেউ ওমরাহ করতে সৌদি যেতে পারেননি।
আরএম/এসএইচএস/এনএফ/এবিএস