ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

চলতি কৃষি সেচ মৌসুমে ডিজেলের চাহিদা ১৪ লাখ টন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৩১ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর ২০২২

চলতি ২০২২-২৩ সালের কৃষি সেচ মৌসুমে ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ১২৯ টন ডিজেলের চাহিদা রয়েছে, যা গত বছর থেকে দুই লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ টন বেশি। এছাড়া এ বছর ৪৫ হাজার ৯৭১ টন লুব অয়েলের চাহিদা রয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) অনলাইনে কৃষি সেচ মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ডিসেম্বর থেকে মে পর্যন্ত কৃষি সেচ মৌসুম। ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষিখাতে ১১ লাখ ৫০ হাজার ৮৭৭ টন জ্বালানি তেল ব্যবহৃত হয়েছে, যা মোট ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ১৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ডিজেল বাফার স্টক, তেল সরবরাহের জন্য ট্যাংক-ওয়াগন বা রেল র‍্যাক নিশ্চিতকরণ, নৌপথের নাব্যতা সংরক্ষণ, তেল পাচার রোধ ও নৌঘাট সংক্রান্ত রাস্তার সংস্কার নিয়ে সভায় আলোচনা করা হয়।

সভায় জানানো হয়, কৃষি সেচ মৌসুমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষকদের কাছে সঠিক সময়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বর্ধিত পরিমাণ ডিজেল সরবরাহ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য ১ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াল করপোরেশনের (বিপিসি) চট্টগ্রামের প্রধান কার্যালয়ে ‘কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল সেল’ খোলা হয়েছে।

সেচ মৌসুম উত্তীর্ণ (শেষ) না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডিজেলের মজুত সার্বক্ষণিকভাবে এক লাখ ৫০ হাজার টন সংরক্ষণের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ২০২২-২৩ সালের কৃষিসেচ মৌসুমে ডিজেল ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ১২৯ টন ও লুব অয়েল ৪৫ হাজার ৯৭১ টনের প্রাক্কলিত চাহিদা রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সভায় উপদেষ্টা ও প্রতিমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি তেল সরবরাহে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেন।

ভার্চুয়াল সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন, পিডিবির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, আরইবির চেয়ারম্যান মোহা. সেলিম উদ্দিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দপ্তর প্রধানরা সংযুক্ত ছিলেন।

আরএমএম/এএএইচ/এমএস