ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাবে ১৫ লাখ, চুক্তি আজ

প্রকাশিত: ১২:৪৭ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মালয়েশিয়ায় ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে জনশক্তি রফতানির বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হবে আজ (বৃহস্পতিবার)। চুক্তি করতে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী সেরি রিচার্ড রায়টের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছেন।

মালয়েশিয়ায় তিন বছরে ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে এই চুক্তি হবে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। নির্মাণ খাত, সেবা খাত, মালি ও উৎপাদন খাতেই মূলত শ্রমিক নেবে দেশটি।

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আবদুর রউফ জাগো নিউজকে জানান, আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে মার্চের শেষ দিকে প্রথম দফায় কর্মী যাবে মালয়েশিয়ায়।

দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সইয়ের পর মালয়েশিয়া সরকারের কাছে বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্টদের তালিকা পাঠাবে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়। মালয়েশিয়া সরকার তা যাচাইবাছাই করে ঠিক করবে কারা কর্মী পাঠাতে পারবে। এরপর বাছাই করা রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো মালয়েশিয়া যেতে নিবন্ধন করা তালিকা থেকে কর্মী বাছাই করবে।

প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় যেতে প্রত্যেক কর্মীর খরচ হবে ৭৫ হাজার টাকার মতো। মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কাজী আবুল কালাম জাগো নিউজকে জানান, এর মধ্যে একেকজন কর্মীর খরচ পড়বে ৩৪ থেকে ৩৭ হাজার টাকা। বিমান ভাড়া, রিক্রুটিং এজেন্টদের সার্ভিস চার্জ, মেডিকেল খরচ বাবদ ব্যয় হবে এই টাকা। আর বাকি টাকা দেবে চাকরিদাতারা।

কোন কোন রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা পাঠানো হবে- জানতে চাইলে কাজী আবুল কালাম বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, যারা কখনো কালো তালিকাভুক্ত হয়নি- তাদের নাম মালয়েশিয়ায় পাঠানো হবে।’

তবে এই রিক্রুটিং এজেন্সির নাম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আলোচনার দাবি জানিয়েছে জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা)।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ কালাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় কাদের নাম পাঠাবে তা নিয়ে আমাদের সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা করা উচিত। মন্ত্রণালয় বলছে তারা সংক্ষিপ্ত তালিকা করবে, কিন্তু কীভাবে করবে? আমরা তো দীর্ঘদিন এ নিয়েই কাজ করছি। আমাদের মতামত নিলে ভালো তালিকা করতে পারবে সরকার।’

উল্লেখ্য, গত বছর ২৪ জুন কুয়ালালামপুরে তৎকালীন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে মালয়েশীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ জাহিদ হামিদি বেসরকারিভাবে তিন বছরে ১৫ লাখ শ্রমিক নেয়ার কথা জানান। এরপর জিটুজি পদ্ধতি সংস্কার করে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকেও (বিটুবি) অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

এ প্রক্রিয়ায় দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় দুই দেশের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, বিটুবি নয়, সরকারিভাবে জিটুজি-প্লাস পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো হবে।

এ ঘোষণার পরদিন দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। শ্রমিক প্রেরণের প্রক্রিয়া নিয়ে দুই দেশের সমঝোতা না হওয়ার কারণেই চুক্তির বিষয়টি ঝুলে যায়। অবশেষে ৮ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভা জিটুজি-প্লাস চুক্তির খসড়া অনুমোদন দেয়। আর এতেই খুলে যায় জট।

বিএ

আরও পড়ুন