ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

শিক্ষা-সংস্কৃ‌তির উন্নয়নে সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:৩৬ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০২২

শিক্ষা-সংস্কৃ‌তিসহ সব পেশার উন্নয়নে দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ ও বি‌ভিন্ন বিষয়ে ভারত বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) অডিটোরিয়ামে ৫৮তম ভারতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা (আইটেক) দিবস উদযাপনের জন্য সংবর্ধনা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

ভারত প্রতি বছরই নানা পেশার মানুষের দক্ষতা বাড়াতে অভিজ্ঞতা বিনিময় করে জানিয়ে প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারতের স্বনামধন্য ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ কোর্সের মাধ্যমে বিভিন্ন পেশার মানুষ দক্ষ হয়ে উঠে। নানা বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় করে। তাই প্রতি বছর আইটেক কোর্সের মাধ্যমে হাজারও বাংলাদেশি পেশাজীবী ও তরুণদের ভারতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ প্রশিক্ষণ অব্যাহত থাকবে।

এছাড়া সরকারি পেশাজীবীদের পাশাপাশি এখন থেকে প্রফেশনাল এবং প্রাইভেট সেক্টরের ব্যক্তিরা স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য আইটেক বৃত্তির সুযোগ পাবেন বলে জানান তিনি।

jagonews24

প্রণয় ভার্মা আরও বলেন, বাংলাদেশ আইটেক প্রোগ্রামে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। যেখানে বাংলাদেশ প্রতিবছর আইটেকের জন্য ৫০০টি ডেডিকেটেড স্লট প্রাপ্ত হয়। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজন অনুসারে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বেশ কিছু টেইলর-মেড প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়। এখন বাংলাদেশের আইটেক অ্যালামনাইরা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের দৃঢ় বন্ধন প্রদর্শন করেছেন।

আইটেক সহযোগিতার অধীনে বাংলাদেশ অগ্রণী ও সুযোগ্য অংশীদার জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ২০২০-২১ সালে করোনা মহামারিও এই উৎসাহ হ্রাস করতে পারেনি। তখন ভার্চুয়ালি বেশ কয়েকটি কোর্সের আয়োজন করা হয়েছিল। সাড়ে চার হাজারের বেশি তরুণ বাংলাদেশি প্রফেশনালরা এ জাতীয় বিশেষায়িত স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি কোর্স করেছেন।

তিনি বলেন, এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রতিভাবানদের সঙ্গে সেরা ভারতীয় অনুশীলনগুলো শেয়ার করার সুযোগ দেয়। এতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারত সমানভাবে লাভবান হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আইডিইবি সভাপতি এ কে এম এ হামিদ বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য ভারতীয় বিভিন্ন প্রশিক্ষণের সুযোগ আরও উন্মুক্ত করার অনুরোধ জানান।

এমএমএ/এমকেআর