সীতাকুণ্ড বিস্ফোরণ
অঙ্গ হারানো ৯ ব্যক্তিকে কৃত্রিম হাত-পা সহায়তা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোর বিস্ফোরণে অঙ্গ হারানো ৯ ব্যক্তিকে কৃত্রিম হাত-পা দিচ্ছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক।
বিনামূল্যে যারা এই সহায়তা পাচ্ছেন তারা হলেন খালেদুর রহমান, তুহিন হোসেন, আবদুস সামাদ, মারুফ হোসেন, মনির হোসেন, নুরুল আক্তার, রবিন মিয়া, হৃদয় হোসেন এবং হযরত আলী।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ব্র্যাক লিম্ব অ্যান্ড ব্রেস সেন্টারে (বিএলবিসি) এক অনুষ্ঠান হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এবং ব্র্যাকের স্বাস্থ্য পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচির (এইচএনপিপি) পরিচালক ডা. মোরশেদা চৌধুরী।
আয়োজকরা বলেন, সীতাকুণ্ডে আহত হন ৪৫০ জনেরও বেশি। গুরুতর আহত ২৩ জনকে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। নিবিড় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগীদের মধ্য থেকে নয়জনকে চিহ্নিত করা হয়, যাদের কৃত্রিম অঙ্গ এবং প্রেশার গার্মেন্টস প্রয়োজন।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আহতদের পাশে এভাবে দাঁড়ানোর জন্য ব্র্যাককে ধন্যবাদ। দেশের অন্য হাসপাতালগুলোতেও ব্র্যাক যেন এমন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে আহত ও অঙ্গ হারানো মানুষের পাশে থাকে।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ সহায়তাপ্রাপ্তদের উদ্দেশে বলেন, ব্র্যাক আপনাদের পাশে দাঁড়াতে যা করেছে তা আসলে করার কথা ছিল আপনাদের নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর। দুঃখের বিষয়, আমাদের দেশে তেমন ব্যবস্থা এখনও গড়ে ওঠেনি। আমরা চাই, ভবিষ্যতে অঙ্গ হারানো মানুষ হিসেবে পরিচিত না হয়ে নিজের সক্ষমতায় আবার স্বনির্ভরতা অর্জন করবেন। এজন্য ব্র্যাক সবসময় আপনাদের পাশে থাকবে।
ব্র্যাকের স্বাস্থ্য পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচি (এইচএনপিপি) পরিচালক ডা. মোরশেদা চৌধুরী বলেন, আমাদের এই সহায়তা আহত ব্যক্তিদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে এটাই প্রত্যাশা।
ব্র্যাক এবং শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির যৌথ উদ্যোগে গত বছর একটি নতুন লিম্ব অ্যান্ড ব্রেস সেন্টার স্থাপন করা হয়।
এর লক্ষ্য হলো আগুনে আহত এবং অঙ্গবিচ্ছেদ ব্যক্তিদের জন্য কম খরচে কৃত্রিম হাত-পা সংক্রান্ত সেবা দেওয়া। এ পর্যন্ত অঙ্গহানির শিকার ৪৩ হাজার ব্যক্তির জন্য কৃত্রিম হাত-পা সরবরাহ করেছে ব্র্যাক।
এএএম/জেডএইচ/জেআইএম