ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং পরবর্তী ব্রি’র কৃষি পরামর্শ
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং পরবর্তী কৃষি পরামর্শ জানিয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলছে, ওয়েদার রিসার্চ অ্যান্ড ফোর্সকাস্টিং (ডব্লিউআরএফ) মডেল হতে প্রাপ্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী পাঁচদিন (২৫ থেকে ২৯ অক্টোবর) বাংলাদেশের কোনো জেলাতেই মাঝারি কিংবা ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কোনো কোনো জেলায় খুবই সামান্য বৃষ্টি হতে পারে।
এই অবস্থায় ধান চাষের জমিতে সার ও সেচ দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। ধান আধা পাকা বা পাকার কাছাকাছি থাকলে জমি থেকে অতি দ্রুত পানি সরিয়ে ফেলতে হবে। সেচ নালা পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে ধানের জমিতে অতিরিক্ত পানি জমে না থাকে।
শামা বা ফুল্কা আগাছায় এই সময় ফুল আসে। ফলে শামা বা ফুল্কা আগাছা উঠেয়ে ফেলতে হবে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যদি ধান নুইয়ে পড়ে তাহলে সম্ভব হলে ৫-৬টি ধানের গোছা একসঙ্গে বেঁধে দিয়ে খাড়া করে রাখতে হবে। এতে ফলনে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে এবং ধান পরিপুষ্ট হবে।
ধান গাছের বর্তমান বৃদ্ধি পর্যায়ে সুগন্ধি জাতে শীষ ব্লাস্ট এবং সংবেদনশীল জাতে (যেমন: ব্রি ধান৪৯, ব্রি ধান৭৫, ব্রি ধান৭৯) লক্ষ্মীর গু রোগ দেখা দিতে পারে। আর এ রোগ দুটি একবার হয়ে গেলে আর দমন করা যায় না। তাই বৃষ্টি কমলেই শীষ ব্লাস্ট রোগের জন্য ট্রাইসাইক্লাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন- ট্রুপার প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৮ গ্রাম ওষুধ অথবা বিন গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন নাটিভো প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৬ গ্রাম ওষুধ ভালোভাবে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে সাতদিন ব্যবধানে দুই বার (বিকেল বেলা) স্প্রে করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন স্প্রে করার পরপরই বৃষ্টিতে ওষুধ ধুয়ে না যায়। একইভাবে লক্ষ্মীর গু রোগের জন্য প্রোপিকোনাজল ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করতে হবে। তাছাড়া ঝড়-বৃষ্টির কারণে ব্যাকটেরিয়াজনিত পাতাপোড়া রোগ দেখা দিতে পারে। ধানের ফুল আসার পর এ রোগটি দেখা দিলে ফলনের তেমন কোনো ক্ষাত হয় না।
এছাড়া কাটা ফসল নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করে দ্রুত ঝাড়াই ও মাড়াই করার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট।
এনএইচ/কেএসআর/জিকেএস