ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা : ৩ জনের ফাঁসি বহাল

প্রকাশিত: ০৬:৪৬ এএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর সিলেটে হামলার মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া রায়ে তিনজনের ফাঁসি ও দু`জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। জেল আপিল-ডেথ রেফারেন্স ও আপিল আবেদন শুনানি শেষে এই রায় দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।

ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। আসামি পক্ষে ছিলেন এসএম ফায়েজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবির।

এর আগে বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে সাজা দেন। একইসঙ্গে মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ এবং মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে আজকের দিন ধার্য করেন আদালত। আজ এই রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (রা.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা করা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রশাসকসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন।
 
ঘটনার দিন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৩১ জুলাই মুফতি হান্নানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর সম্পূরক অভিযোগপত্র দিয়ে মাঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালের নামও অন্তর্ভুক্ত করে আবার অভিযোগ গঠন করা হয়।

নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নথি নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালতে আসে। পাশাপাশি ২০০৯ সালে এ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা আপিলও করেন। দীর্ঘ সাত বছর পর গত ৬ জানুয়ারি এ মামলা হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়।

এফএইচ/এমজেড/এআরএস