দেশে এলো এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রথম এয়ারক্রাফট
বাংলাদেশের নতুন এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রথম এয়ারক্রাফট দেশে পৌঁছেছে। সোমবার (১০ অক্টোবর) এয়ার অ্যাস্ট্রার একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এয়ার অ্যাস্ট্রার এক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি এয়ার অ্যাস্ট্রার এটিআর ৭২-৬০০ (S2-STB) মডেলের এয়ারক্রাফটটি দেশে এসেছে। এয়ারক্রাফটটি বুলগেরিয়ার সোফিয়া থেকে বুধবার (৫ অক্টোবর) রওনা হয়ে মিশরের কায়রো, ওমানের মাস্কাট ও ভারতের আহমেদাবাদ হয়ে রোববার (৯ অক্টোবর) দেশে পৌঁছেছে।
এর আগে বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য চারটি উড়োজাহাজ লিজ নেওয়ার কথা জানিয়েছিল সদ্য প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি এয়ারলাইন্স এয়ার অ্যাস্ট্রা। বাকি তিনটি এয়ারক্রাফট শিগগিরই যোগ দেবে। যাত্রা শুরুর প্রথম দিন থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটের প্রতিটি বিমানবন্দরেই ফ্লাইট চালাবে এয়ার অ্যাস্ট্রা। কিন্তু ঠিক কবে থেকে এয়ার অ্যাস্ট্রা যাত্রী পরিবহন করবে, তা সঠিকভাবে জানা যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করেও পাওয়া যায়নি।
তবে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান সম্প্রতি জাগো নিউজকে জানিয়েছিলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থান সংকট হওয়ায় এয়ার অ্যাস্ট্রাকে আপাতত ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম কিংবা সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পার্কিং স্টেশন করতে হবে। শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ শেষ হলে তারা এটি ব্যবহার করতে পারবে।
২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে বেবিচকের কাছে এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে তালিকাভুক্তি ও ফ্লাইট পরিচালনার আবেদন জমা দেয় এয়ার অ্যাস্ট্রা। ৪ নভেম্বর তারা এনওসি পায়। প্রাথমিকভাবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করলেও করোনা পরিস্থিতি এবং বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ রাখার স্থান সংকটের কারণে অপারেশন শুরু করতে দেরি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং নভোএয়ার ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
এমএমএ/জেএস/জেআইএম