সাব কনট্রাকটরের আড়ালে বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ চুরি করে বেচতেন তিনি
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের তার ও ট্রান্সফর্মার চুরি হচ্ছে। এই চুরিতে জড়িত চক্রের মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। গ্রেফতার শরিফুল ইসলাম ওরফে শরিফ (৩৫) বিদ্যুতের বিভিন্ন প্রকল্পের সাব কনট্রাকটর হিসেবে কাজ করতেন।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টোরোডে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপি গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
এর আগে বুধবার রাজধানীর খিলগাঁও থানার বনশ্রী এলাকায় অভিযান চালিয়ে শরিফকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ চোরাই যন্ত্রাংশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ডিএমপি গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশে বিদ্যুতের সংকট চলছে। এরই মধ্যে একটি চক্র বিদ্যুতের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ চুরি করছে। এমন তথ্যে গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ, গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিম বিশেষ অভিযান চালায়। অভিযানে বৈদ্যুতিক তার, যন্ত্রাংশ ও ট্রান্সফর্মার চুরি চক্রের মূলহোতা শরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের সময় শরিফুল ইসলামের কাছ থেকে ৮টি সার্কিট ব্রেকার, ১২টি ডিস্ক ইনস্যুলেটর, ১০টি টেনসন ক্লাম্প, ১০টি পোস্ট ইনস্যুলেটর, ২টি ড্রাব কাট-আউট, একটি সাইড মাউন্ট ব্রাকেট ও ৪টি সেকল ইনস্যুলেটর উদ্ধার করা হয়।
শরিফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাদ দিয়ে গোয়েন্দা প্রধান বলেন, শরিফ বিদ্যুৎ বিভাগের বিভিন্ন সংস্থার সাব-কনট্রাকটর হিসেবে ঠিকাদারি কাজ করতেন। আর এই কাজরে সূত্র ধরে শরিফের সঙ্গে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার ও ওভারহেড বৈদ্যুতিক লাইন সংযোগে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ চোর চক্রের সদস্যদের পরিচয় গড়ে ওঠে। এই চক্রের সদস্যরা দেশের বিভিন্নস্থান থেকে বৈদ্যুতিক সংযোগের যন্ত্রপাতি চুরি করে এনে শরিফের কাছে বিক্রি করতেন।
গ্রেফতার শরিফ চোর চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার ও ওভারহেড বৈদ্যুতিক লাইন সংযোগে ব্যবহৃত চোরাই বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ অল্প টাকায় কিনে জমা করে রাখতেন। পরে এসব চোরাই যন্ত্রপাতি বিভিন্ন অবৈধ সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতেন। এর মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি।
শরিফের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া যন্ত্রপাতির বাজার মূল্য সম্পর্কে জানতে চাইলে গোয়েন্দা প্রধান বলেন, তার কাছ থেকে অনেকগুলো যন্ত্রপাতি উদ্ধার হয়েছে। এগুলোর বাজার দর জানতে সময় লাগবে। এগুলো সাধারণত বাজারে পাওয়া যায় না।
টিটি/কেএসআর/জেআইএম