ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পথশিশুদের পাশে পজিটিভ ঢাকা

জাগো নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:৩১ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

সমাজে এমন কিছু শিশু রয়েছে যারা বেড়ে উঠছে পথেঘাটে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের কারণে এরা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। সমাজের উপেক্ষাকৃত বড় একটি অংশ এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা। কখনও খেয়ে না খেয়ে কখনও বা আধপেটা খেয়ে দিন কাটে তাদের। বেশির ভাগ শিশু নিজের খাদ্যের যোগান দিতে রাস্তায় রাস্তায় প্লাস্টিক কুড়িয়ে বিক্রি করে। যেখানে তিন বেলার খাবার যোগানোই তাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ সেখানে অন্যান্য চাহিদা পূরণ অনেকটাই বিলাসিতা।

সমাজের এমনই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছে মানবিক সংগঠন পজিটিভ ঢাকা। প্রতিষ্ঠা করেছে পজিটিভ স্কুল। যেখানে পরম মমতায় বাচ্চাদের মৌলিক ও নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি দেওয়া হয় এক বেলার খাবারও।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর ছিল মানবিক এই সংগঠনটির দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দিনটি তারা উদযাপন করেছে রেলওয়ে স্টেশনে থাকা ৫০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে। অনিশ্চিত জীবন নিয়ে পথে পথে বেড়ে ওঠা শিশুদের আনন্দ ও বিনোদন দেওয়ার জন্য পজিটিভ ঢাকা এই দিনটি পালন করে ভিন্ন আঙ্গিকে।

তাদের আয়োজনে ছিল ৫০ জন শিশুর জন্য আনন্দদায়ক চারটি খেলা। খেলায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার। আনন্দ ও বিনোদন দানের পাশাপাশি দেওয়া হয় এক বেলার খাবারও।

পথশিশুদের পাশে পজিটিভ ঢাকা

পজিটিভ স্কুলের কো-অর্ডিনেটর শাহিনা নদী বলেন, ‘পজিটিভ স্কুল’ভালোবাসা, নৈতিকতা ও সুশিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার একটি মানবিক প্ল্যাটফর্ম। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন শিশুগুলো খুব সহজেই আসক্ত হয়ে পড়ছে মাদকে। খাদ্যের অভাব ও মাদকের যোগান দিতে প্রতিনিয়তই জড়িয়ে যাচ্ছে নানারকম অপরাধের সঙ্গে। তাই স্কুলে পাঠদানের পাশাপাশি আমরা চেষ্টা করছি শিশুদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে। সেইসঙ্গে তাদের জন্য নিশ্চিত করতে চাই নিরাপদ পরিবেশ।

পজিটিভ ঢাকা সংগঠনটি মূলত যাত্রা শুরু করে অসহায় মানুষদের রক্তদানের মাধ্যমে। মানবিক সংগঠনটি এ পর্যন্ত দুই হাজার ব্যাগের অধিক ডাটাবেজসহ রক্তের ব্যবস্থা, করোনাকালীন সময়ে একশ’র বেশি করোনা আক্রান্ত রোগীকে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা, ভিক্ষুকদের ওজন মাপার মেশিন, ভ্রাম্যমাণ চায়ের দোকানের জন্য সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা ছাড়াও করেছে মার্জিয়া, সুলতানা, হাসান, দিদার, আহাদ, মৌসুমির মায়ের মতো অনেক অসহায় মানুষের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা।

এসএইচএস/জেআইএম