ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

থার্ড টার্মিনাল চালু হলে শাহজালালে লাগেজ হয়রানি বন্ধ হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৪৮ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল চালু হলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সঙ্গে তালমিলিয়ে লাগেজ ডেলিভারি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

তিনি বলেন, এখন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। থার্ড টার্মিনাল চালু হলে এ কাজটা ভালোভাবে যারা করতে পারবে, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তাদের দেওয়া হবে। লাগেজ ডেলিভারির ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। এখানে লোকবল দক্ষ করতে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছি।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী। পরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

মাহবুব আলী বলেন, আগামী অক্টোবরে ৯০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়ে যাবে। তৃতীয় টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু হলে বছরে যাত্রী পরিবহন ক্ষমতা হবে ২২ মিলিয়ন। অ্যাপ্রোন পার্কিং হবে ৪৬টি। বর্তমানে অবকাঠামোগত কারণে আমরা বিমানবন্দরে ফুল সার্ভিস দিতে পারি না।

আরও পড়ুন>> শাহজালাল বিমানবন্দরে লাগেজ নিয়ে দুর্ভোগে যাত্রীরা

বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমে বিমানবন্দরে কোনো অসঙ্গতি উঠে আসলে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই তা সমাধান করি। যাতে কোনো যাত্রী হয়রানির শিকার না হয়, সেজন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করি। আগামী দিনে তৃতীয় টার্মিনালসহ এক ও দুই নম্বর টার্মিনালের সেবার মান যাতে আন্তর্জাতিক মানের হয়, সে বিষয়ে কাজ করছি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি হচ্ছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল। দেশে-বিদেশে সবখানে ইতিবাচক মনোভাব সবার মধ্যে। যাত্রীরা বাংলাদেশে আসার পরে যাতে বুঝতে পারেন বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে, সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ সব বিমানবন্দর সাজানো হচ্ছে। এর মধ্যে শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল অন্যতম।

মাহবুব আলী বলেন, কাজের অগ্রগতি এখানে অ্যাপ্রোনের কাজ, র‌্যাপিট ট্যাক্সওয়ের কাজ প্রায় শেষের দিকে। আমাদের অগ্রগতির কাজ ৪৪ দশমিক ২৪ শতাংশ। টার্মিনাল এখন দৃশ্যমান। ২০২৩ সালের অক্টোবরে তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করা যাবে। করোনার সময়ও আমরা কাজ অব্যাহত রেখেছি। যার জন্য কাজে দেরি হয়নি। এ বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনাও যাতে বিশ্বের যেকোনো বিমানবন্দরের তুলনায় যাতে সার্ভিসের ব্যত্যয় না ঘটে, সেদিকে দৃষ্টি রেখেই কাজ করে যাচ্ছি।

এমএমএ/এএএইচ/এএসএম