ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

এমপি লিটন হত্যা: ইন্টারপোলের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকার আসামি গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৫৩ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকারদলীয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকাণ্ডের প্রধান সমন্বয়কারী ও ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতার আসামির নাম চন্দন কুমার রায়।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে সাতক্ষীরার ভোমরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, লিটন হত্যা মামলায় আদালত ওই হত্যাকাণ্ডের প্রধান সমন্বয়কারী চন্দন কুমার রায়কে ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। চন্দন ছাড়াও আরও ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদানের পর থেকেই লিটন পলাতক ছিলেন। এরপর পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি শাখা ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করে। টানা ৩ বছর তিনি পলাতক থাকার পর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজ রাতে সাতক্ষীরার ভোমরা এলাকা থেকে চন্দকে গ্রেফতার করা হয়।

এ বিষয়ে সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় প্রধান আসামি সাবেক জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ কর্নেল (অব.) আব্দুল কাদের খানসহ সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত কাদের খানকে ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য আসামিদের মধ্যে তার পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদি, শাহীন ও রানা কারাগারে বন্দি। আসামি সুবল চন্দ্র রায় কারাগারে মারা গেছেন। এ মামলায় একমাত্র আসামি হিসেবে পলাতক ছিলেন চন্দন কুমার রায়।

চন্দন কুমার সরকার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক ও বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ গ্রামের সুশীল কুমারের পুত্র।

২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজ গ্রামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন এমপি লিটন। ওই রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনার পরদিন সুন্দরগঞ্জ থানায় তার ছোট বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

টিটি/এমকেআর/কেএসআর/জিকেএস