ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

এডিস মশা নিধনে ডিএনসিসির সপ্তাহব্যাপী অভিযান শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৫৪ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সপ্তাহব্যাপী ‘বিশেষ মশকনিধন অভিযান’ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সংস্থাটির পৃথক ১০টি অঞ্চল থেকে রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) একযোগে এ অভিযান শুরু করা হয়েছে। প্রতিটি অভিযানে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা তথা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসেন জানান, কারো বাসাবাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পেলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র। সে অনুযায়ী সকাল ১০টা থেকে প্রতিটি অঞ্চলে অভিযান শুরু হয়েছে। সকাল থেকে ডিএনসিসিকর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। যেখানে মশার বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যাচ্ছেন, সেখানই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া মশক কর্মীরা ওষুধ স্প্রে করছেন।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানী উত্তরায় ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন দক্ষিণখানে মধ্য আজমপুর এলাকায় এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযানে গিয়েছিলেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এ সময় তিনি রোববার থেকে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করার ঘোষণা দেন।

বাসা-বাড়ি-অফিসে জমে থাকা পানিতে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেছেন, ‘আইনানুযায়ী নিয়মিত মামলা হবে। কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনার বাড়ি বা স্থাপনার ভেতরে, বাইরে, আশপাশে কোথাও পানি জমে থাকলে ফেলে দিন। ডেঙ্গু থেকে আপনি সুরক্ষিত থাকুন আপনার পরিবার ও প্রতিবেশীকে সুরক্ষিত রাখুন। বাড়িতে লার্ভার চাষ করে শাস্তি না পেয়ে বরং লার্ভার উৎস ধ্বংস করে পুরস্কৃত হোন।’

আরও পড়ুন>> ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযানের ঘোষণা আতিকের

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ধারণা করা হয়েছিল অন্যান্য সময়ের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তাই, বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই আমরা বছরের শুরু থেকে ডেঙ্গুনিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করাসহ নানা কর্মসূচি চালিয়ে আসছি। তবে, অতীতের সঙ্গে পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে এবছর ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা অনেকটা কম। আমাদের কার্যকর পদক্ষেপের কারণে এখন পর্যন্ত ডিএনসিসি এলাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। পার্শ্ববর্তী অনেক দেশের তুলনায়ও আমাদের দেশে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা অনেক কম। ডেঙ্গু পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণ করাই আমাদের লক্ষ্য।’

এমএমএ/এমএএইচ/এমএস