ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বিআইডব্লিউটিসির গাফিলতি

সরকারি টাকার এমভি বঙ্গমাতা-বঙ্গতরীতে মরিচা

ইকবাল হোসেন | প্রকাশিত: ০১:৩৯ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২২

# নির্মাণাধীন অবস্থায় কর্ণফুলী নদীর পাড়ে ফেলে রাখা হয়েছে জাহাজ দুটি
# ৬৪ কোটি টাকা খরচ করেও জাহাজ গ্রহণে উদ্যোগ নেই
# কার্যাদেশ বাতিল ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করে দায় সারা
# পদে পদে অনিয়ম হয়েছে- বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান

এমভি বঙ্গমাতা ও এমভি বঙ্গতরী। দুটিই যাত্রীবাহী জাহাজ। নির্মাণ করছে চট্টগ্রামে নিউ ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপ বিল্ডার্স। প্রায় ৬৮ কোটি টাকায় প্রতিষ্ঠানটিকে এ কাজ দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। এরই মধ্যে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নিয়েছে ৬৪ কোটি টাকা। তবে কাজ শেষ করেনি। বিআইডব্লিউটিসি জাহাজও বুঝে নেয়নি। দায়সারা শোকজ আর কালো তালিকাভুক্ত করেই যেন দায়িত্ব শেষ! বর্তমানে কর্ণফুলী নদীর পাড়ে পড়ে থাকা জাহাজ দুটি নষ্ট হচ্ছে মরিচা ধরে। খোদ বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যানই বলছেন, এ কাজে পদে অনিয়ম হয়েছে।

২০১৫ সালে কাজ শুরু হয়ে ২০১৭ সালে বিআইডব্লিউটিসির বহরে যুক্ত হওয়ার কথা ছিল জাহাজ দুটির। কিন্তু দীর্ঘ সাত বছরেও নির্মাণ শেষ হয়নি। এরই মধ্যে মরিচা ধরতে শুরু করেছে সরকারি টাকার ‘এমভি বঙ্গমাতা’ ও ‘এমভি বঙ্গতরী’তে। ৬৪ কোটি টাকার বেশি পরিশোধ করেও জাহাজ দুটি গ্রহণ বা নির্মাণ শেষ করাতে পারেনি বিআইডব্লিউটিসি।

এ নিয়ে বিআইডব্লিউটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান বলছেন, পুরো প্রকল্পে পদে পদে অনিয়ম হয়েছে। বিল দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করা হয়নি। আর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ, বিআইডব্লিউটিসি থেকে বারবার তাদের প্রকল্প পরিচালক বদল হওয়া এবং সিদ্ধান্তহীনতায় জাহাজ দুটির নির্মাণ বিলম্বিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: জাহাজ নির্মাণ শিল্পে স্বল্পসুদে ২ হাজার কোটি টাকার তহবিল 

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল ‘ঢাকা-বরিশাল-খুলনা নৌরুটের জন্য দুটি নতুন যাত্রীবাহী জাহাজ সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্পে এমভি বঙ্গমাতা ও এমভি বঙ্গতরী নৌ যান সংগ্রহের উদ্যোগ নেয় বিআইডব্লিউটিসি। ৬৭ কোটি ৭৫ লাখ ৭২ হাজার টাকায় জাহাজ দুটি নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিউ ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপ বিল্ডার্স। ২০১৬ সালের ১ জুন ও ১৯ ডিসেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয় বিআইডব্লিউটিসির। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল। এখন পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিসি থেকে ৬৪ কোটি ১৯ লাখ ৮২ হাজার টাকা উঠিয়ে নিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।

নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হলে দুই ধাপে ১৮ মাস সময় বাড়িয়ে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরমধ্যে জাহাজ দুটির নির্মাণকাজ শেষ করতে না পারায় চলতি বছরে ১৩ ফেব্রুয়ারি বিআইডব্লিউটিসির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) জেসমিন আরা বেগম স্বাক্ষরিত এক পত্রে কার্যাদেশ ও চুক্তি বাতিল করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কালো তালিকাভুক্ত করার আদেশ দেওয়া হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জাহাজ দুটি সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের একটি অংশ। জাহাজ দুটি নির্মাণ শেষে সার্ভিসে নিয়োজিত না হওয়ায় যাত্রীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে সংস্থার আর্থিক ক্ষতি এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

চিঠিতে জাহাজ দুটি যে অবস্থায় রয়েছে, সেই অবস্থায় হস্তান্তর করার অনুরোধও করা হয়।

এই চিঠির ছয় মাস পার হলেও জাহাজ দুটি বুঝে পেতে বিআইডব্লিউটিসির আর কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। পরবর্তীসময়ে জাহাজ দুটি নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) ড. মো. রফিকুল ইসলাম খানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে মন্ত্রণালয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) জেসমিন আরা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ‘এমভি বঙ্গমাতা ও এমভি বঙ্গতরীর বিষয়ে আপডেট কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।’ এজন্য মন্ত্রণালয়ে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।

বিআইডব্লিউটিসির মুখ্য পরিকল্পনা ব্যবস্থাপক খোন্দকার মাহমুদুর রহমান ঈমান জাগো নিউজকে বলেন, সবশেষ মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন দিয়েছে। আমরা এখনো ওই প্রতিবেদন পাইনি। তবে জাহাজগুলো যাতে দ্রুত পাই, আমরা সেই চেষ্টায় রয়েছি। জাহাজগুলোর বিষয়ে পাবলিক ডিমান্ড রয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রধান ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) ড. মো. রফিকুল ইসলাম খান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা সচিব মহোদয়ের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। এখন কোন অবস্থায় আছে সেটি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে আমরা জাহাজ দুটি নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে কয়েকটি সুপারিশ দিয়েছি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, জাহাজ নির্মাণ শিল্পে সুনাম রয়েছে চট্টগ্রামের ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের। বিশ্বের অনেক নামিদামি প্রতিষ্ঠানের জাহাজও নির্মাণ করে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যবস্থাপনায় টানাপোড়েন ও ব্যাংকের ঋণ জটিলতার কারণে সমালোচনায় পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। বিআইডব্লিউটিসির কাজ নেওয়ার ক্ষেত্রে চতুরতার আশ্রয়ও নেয়।

আরও পড়ুন: জাহাজ নির্মাণ শিল্পের ঋণ পরিশোধের সুবিধা পরিপালনের নির্দেশ 

ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপ ইয়ার্ডে নির্মিত হলেও ‘এমভি বঙ্গমাতা’ এবং ‘এমভি বঙ্গতরী’ নির্মাণের কাজ নেওয়া হয় নিউ ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপ বিল্ডার্স নামে। ওয়েবসাইটে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের সাইটটি দেখা গেলেও নিউ ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপ বিল্ডার্স নামে কোনো প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়নি।

বিআইডব্লিউটিসির কালো তালিকাভুক্তির চিঠি গ্রহণ করেছিলেন ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপ ইয়ার্ডের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মো. শহীদুল আলম। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমি ঢাকায় বসি। আমি নিউ ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপ বিল্ডার্সের লোক নই। নিউ ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপ বিল্ডার্সের অফিস চট্টগ্রামের বারিক বিল্ডিংয়ে।

সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশের ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের সামনে কর্ণফুলী নদীর পাড়ে জাহাজ দুটি পড়ে রয়েছে।

এ বিষয়ে কথা হলে জাহাজ দুটি নির্মাণে নিউ ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপ বিল্ডার্সের প্রজেক্ট ম্যানেজার আবদুল কাদের জাগো নিউজকে বলেন, জাহাজ দুটির জন্য তিন-চারটি বিদেশি আইটেম রয়েছে। আমদানি করতে হবে। বর্তমানে ৯১-৯২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ফরেন আইটেমগুলোর জন্য পুরো কাজ শেষ করা যায়নি। উইংস আনতে হবে নেদারল্যান্ডস থেকে। হারবার জেনারেটর আছে এবং নেভিগেশনাল ইক্যুইপমেন্ট। জাহাজের ফার্নিচারগুলো স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করে লাগানো হবে।

তিনি বলেন, বিআইডব্লিউটিসি এর আগে ফান্ডগুলো ব্যাংকে ট্রান্সফার করে দিয়েছিল। তবে আমাদের দেশে করোনাকালীন লকডাউন শেষ হলেও ইউরোপের দেশগুলোতে লকডাউন চলছিল। যে কারণে ইক্যুইপমেন্টগুলোর জন্য এলসি (ঋণপত্র) খোলা সম্ভব হয়নি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক সংক্রান্ত সমস্যা ছিল বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যাংকে সমস্যা থাকলেও অন্য কোনো উপায়ে আমরা এলসি করে ইক্যুইপমেন্টগুলো আনতে পারতাম। সাপ্লাইয়াররা এসবের জন্য ৮-৯ মাস সময় দাবি করছিল। কিন্তু এর মধ্যেই বিআইডব্লিউটিসি আমাদের ব্ল্যাকলিস্ট করে দিয়েছে। তবে প্রজেক্ট ক্লোজ করলে ওদেরও (বিআইডব্লিউটিসি) লস হবে।

আরও পড়ুন: ঠিকাদার কোম্পানিকে ব্ল্যাক লিস্ট করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর 

জাহাজগুলো বসে থাকলে মরিচা ধরে স্বীকার করে তিনি বলেন, বেশিদিন পড়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে জাহাজগুলো। তবে জাহাজগুলো বিআইডব্লিউটিসি কীভাবে নেবে, সে বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজমেন্ট ভালো বলতে পারবেন। আমাদের এমডি (ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সোহাইল হাসান) বর্তমানে আমেরিকায় অবস্থান করছেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তার দেশে আসার কথা রয়েছে। তখন হয়তো সিদ্ধান্ত জানা যাবে।

বিআইডব্লিউটিসির গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া গেলে পাঁচ-ছয় মাসের মধ্যে জাহাজ দুটি নির্মাণ শেষে হস্তান্তর করতে পারবেন বলে জানান তিনি।

তিনি অভিযোগ করেন, শুরু থেকে বিআইডব্লিউটিসি থেকে বারবার তাদের পিডি (প্রকল্প পরিচালক) বদল হওয়ার কারণে একেকজন একেক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের সিদ্ধান্তহীনতার কারণেও জাহাজ দুটির নির্মাণকাজ পিছিয়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৯১-৯২ শতাংশ কাজ হয়েছে দাবি করলেও বাস্তবে ততটা কাজ হয়নি।

বিআইডব্লিউটিসির মুখ্য নৌ নির্মাতা মো. জিয়াউল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, জাহাজ দুটির মধ্যে ‘এমভি বঙ্গমাতা’র ৭০ শতাংশ এবং ‘এমভি বঙ্গতরী’র ৮০ শতাংশ কাজ হয়েছে।

আর বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান জানান, বিশেষজ্ঞ কমিটির মূল্যায়ন অনুসারে ৬৫ শতাংশের মতো কাজ হয়েছে।

জাহাজ দুটির বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের পরবর্তী সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জাগো নিউজকে জানান, তার দপ্তরে এ সংক্রান্ত কোনো ফাইল পেন্ডিং নেই। এ বিষয়ে আপডেট জানার জন্য তিনি বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান আহমদ শামীম আল রাজী জাগো নিউজকে বলেন, মেয়াদ শেষেও বারবার তাগাদা দিয়ে, সময় বাড়িয়েও জাহাজ দুটির কাজ শেষ করে হস্তান্তর করতে না পারায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা শোকজের জবাব দেয়নি। পরে তাদের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়, তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। পাশাপাশি সিপিটিইউ (সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট) থেকেও ব্ল্যাকলিস্টেড করা হয়।

৯৫ শতাংশের বেশি বিল পরিশোধের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান বলেন, বিল পরিশোধের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগেই বিলগুলো পরিশোধ হয়েছে।

বিল পরিশোধে অনিয়ম হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই অনিয়ম হয়েছে। প্রত্যেকটা পদে পদে অনিয়ম হয়েছে।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, কাজ শেষ না হওয়ার পরও মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হয়নি। মেয়াদ শেষে কোনো প্রকল্প পরিচালক ছিলেন না। তারপরেও অবৈধভাবে একজনকে পিডি হিসেবে ‘ইন্টেরিও অনার’ দেওয়া হয়েছে। তিনি আবার অবৈধভাবে ঠিকাদারকে বিল দিয়েছেন। আবার বিআইডব্লিউটিসি ওই সময়ের একজন পিডি নিয়োগ দিয়েছে। যেটি তারা পারে না।

সবশেষ যখন তাদের টাকা দেওয়া হচ্ছিল না, তখন আবারও ৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বিল দেওয়ার বিষয়টিও কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, পাঁচ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল এলসি করে জাহাজের যন্ত্রপাতি আনার জন্য। তাদের ওই ব্যাংকে টাকাগুলো রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ দেড় বছরেও তারা (ঠিকাদার) ব্যাংকে এলসি খুলতে পারেনি।

কালো তালিকাভুক্তির পর ঠিকাদার মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করেছে। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গঠন করা হয়েছে একটি টেকনিক্যাল কমিটি। কমিটি প্রতিবেদন দিয়েছে। এখন বিআইডব্লিউটিসি তাকিয়ে আছে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের দিকে।

এমএইচআর/এএসএ/জিকেএস