প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণে আইন হচ্ছে : সেতুমন্ত্রী
মালিকদের দৌরাত্ম বন্ধ ও চালকদের বেপরোয়া আচরণ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণে আনতে আইন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। চলতি অধিবেশনে না হলেও আগামী অধিবেশনে আইনটি পাশ হবে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন শেরে বাংলা নগরের প্রধান সড়কে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। সেখানে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি। তবে রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। পরিবর্তন যে হচ্ছে না তা নয়, হচ্ছে। ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামেও অভিযান চলছে।
মন্ত্রী বলেন, রাস্তায় যাত্রীরা অভিযোগ না করলেও প্রাইভেট সিএনজি ভাড়ায় চালাচ্ছে। ধরাও পড়ছে। দেখা গেছে মিটার নেই।
সড়ক পরিবহনের এ মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় অবৈধ অনেক ছোট যান চলাচল করছে। সেগুলো নিয়ন্ত্রণে অভিযান শুরু হবে শিগরিরই। ফুটপাত দখল মুক্ত করে পথচারীদের জন্য উন্মুক্তকরণে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নিলে বিআরটিএ ও মন্ত্রণালয় সহায়তা করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রাতারাতি কোনো অবৈধ যান উঠানো যাবে না। এজন্য নিয়মিত অভিযান দরকার। শুক্রবার ও পরীক্ষার সময় ব্যতীত বিআরটিএকে নিয়মিত অভিযান চালাতে বলেছি। পুলিশ, স্থানীয় সরকার ও জনগণের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে রাস্তার চিত্র পাল্টে দেয়া সম্ভব বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, মালিকরা ভাড়ার ক্ষেত্রে জামানত বেশি নিচ্ছে। আর সে কারণে চালক ও হেলপাররাও যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করছে। এজন্য মালিকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ডাবল স্ট্যান্ডার্ট ধরণের জীবনযাপন করে। এখানে নিজে যা বলতেছি বেড রুমে গিয়েই তা ভুলে যাচ্ছি। কথা দিয়ে কথা রাখি না আমরা।
দেশ বরেণ্য এ কলামিস্ট বলেন, মালিকদের দৌরাত্ম, চালকদের বেপরোয়া আচরণ ও যাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণ বন্ধ এবং ফুটপাত দখলমুক্ত করতে কি উপায়ে পদেক্ষপ গ্রহণ করা যায় সে বিষয়ে আমরা সরকারকে পরামর্শ দিয়েছি।
জেইউ/এআরএস