তেল বিক্রির টাকা আমরা পকেটে রাখি না : নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) আর্থিক লাভের টাকা আমরা পকেটে রেখে দেয় নাই। পাইপ লাইন তৈরির করার জন্য এই টাকা ব্যবহার করছি। জাতীয় সংসদে মঙ্গলবার ঢাকা-৭ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের বক্তব্যের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী।
সংসদে হাজী সেলিম বলেন, গোটা দুনিয়ায় তেলের মূল্য কমলেও আমাদের দেশে কমার কোন লক্ষণ নাই। এই সংসদে বার বার বলার পরও কোন কিছু হচ্ছে না। জ্বালানি মন্ত্রী বসে আছেন তার মনে হাওয়া-বাতাস কিছুই লাগছে না।
এর জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলে অবশ্যই অতিরিক্ত মুনাফা করছে। কিন্তু বিপিসি ৩২ হাজার কোটি টাকা দেনা ছিল।বর্তমানে এইটা কিছুটা কমে এসেছে। তিনি বলেন, বিপিসির নতুন পাইপ লাইন ইনফ্রাকটাচার উন্নয়ন চলছে। এই টাকা আমরা পকেট রেখে দেয় নাই। বা বিপিসি কোন জায়গায় রেখে দেয় নাই। আমরা আগামীতে পাইপ লাইন করার জন্য এই টাকা ব্যবহার করছি।
নসরুল হামিদ বলেন, আমরা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত যদি একটি পাইপ লাইন করতে পারি তাহলে বছরে ৫০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয়ী করতে পারব। হরতালে ট্রাক বন্ধ, যানবাহন বন্ধ থাকে এবং নৌযান বন্ধ থাকে। তখন এখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারব। তেলের যে ভেজাল করা হয় সেখান থেকেও তেলকে সেভ করতে পারব। গভীর সমুদ্র বন্দরে সেখানে দুটি পাইপ লাইন করার চুক্তি করেছি। সেগুলো একনেক সভায় পাস হয়ে গেছে। এতে আমাদের সরকার বছরে একশ মিলিয়ন ডলার সেভ করতে পারবে। যখন তেলের দাম অতিরিক্ত ছিল তখন কিন্তু সরকার এক সময় ভতুর্কি দিয়ে সবাইকে তেল সাপ্লাই দিয়েছে। এখন যেহেতু তেলের দাম কমে গেছে। আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে কিন্তু সরকার লাভবান হচ্ছে না। ভতুর্কিটা পরিশোধ হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে গ্যাসের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এখন আপাতত সমস্যা নেই। বাসা-বাড়িতে এখন গ্যাস নিয়মিত হয়ে গেছে। কিছুদিন গ্যাসের পাইপ লাইনে ময়লা দেখা গিয়েছিল এ কারণে সেটা পরিষ্কার বা মেইনটেনসের জন্য গ্যাসের প্রেসারটা কমিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু যেভাবে আমাদের গ্যাসের ব্যবহার বাড়ছে। এইভাবে গ্যাস আর আমাদের ১০ থেকে ১২ বছর চলবে। যদি নতুন আবিষ্কৃত গ্যাস পাইপ লাইনে না আসে তাহলে আমাদের এই মজুদকৃত গ্যাস উল্লেখিত বছরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। তবে আমরা বিকল্প হিসেবে একটি পরিকল্পনা নিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, আবাসিক খাতে পাইপ লাইনের ১২ শতাংশ মানুষ ব্যবহার করে। বাকিরা সবাই সিলিন্ডার বা লাকড়ি ব্যবহার করে। সবাই যাতে সুনিশ্চিতভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি ব্যবহার করতে পারে সেজন্য আমরা একটি অ্যাকশন প্লান তৈরি করছি। কারণ আগামীতে আবাসিক খাতে আমরা কি ধরনের জ্বালানি দেব।
এটা ধীরে ধীরে আগামী তিন বছরের মাথায় সারাদেশে ৭০ শতাংশ আবাসিক খাতে এলপিজিতে চলে যাবে এবং এটা দেয়া হবে সাশ্রয়ী মূল্যে। কারণ আমরা আরবান খাতে পাইপ লাইনের যে গ্যাস ব্যবহার করি তার মূল্য মাসে ৬০০ টাকা। আর এলপিজি যারা ব্যবহার করে তাদের প্রতি মাসে দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকা লাগে। তাই আরবান এবং রুরালের মধ্যে এই বৈষম্য সমন্বয় করার অ্যাকশন প্লান নিয়েছি বলে সংসদকে জানান তিনি।
এইচএস/জেএইচ
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ নিউ এইজ সম্পাদককে হয়রানি, ঘটনা তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
- ২ লেখাপড়ায় মনোযোগ দেন, প্রয়োজনে আবারও রাস্তায় নামবো
- ৩ ৩৭ বছর পর চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে প্রকাশ্যে শিবির
- ৪ ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি এ সপ্তাহে, ক্যাডার-ননক্যাডারে পদ ৩৭০১
- ৫ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ, ওষুধে ব্যয় ২০ শতাংশ