হাজার কোটি টাকার সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল প্রকল্প অনুমোদন
দক্ষিণ কোরীয় সরকারের ইকোনোমিক ডেভলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ডের সহজ শর্তে দেয়া ঋণ সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম সেন্টার বেইজড সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। আজ মঙ্গলবার একনেক সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নামের এ প্রকল্পটি অনুমোদন লাভ করে বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।
১০০০ বেডের সেন্টার বেইসড সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটিকে এ দেশের স্বাস্থ্যসেবার ভবিষ্যত দিকপাল বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান ডা. কামরুল হাসান। এছাড়া তিনি সার্বিক সহযোগিতার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, স্বাস্থ্যসচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলামসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ও ধন্যবাদ জানান।
প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খান বলেন, দক্ষিণ কোরীয় সরকারের ইকোনোমিক ডেভলেপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ডের বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে দেয়া এটাই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ সহজ শর্তে ঋণ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থার উৎকর্ষ সাধন ও এর ভব্যিষ্যত সম্ভাবনার জন্য এ ঋণ সাহায্য প্রাপ্তি সম্ভব হয়েছে। এরফলে বাংলাদেশে এই প্রথম সেন্টার বেইজড সুপার স্পেশালাইজড ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান শুরু হবে।
একেনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটিকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে বাংলার আপামর জনসাধারণ যাতে দেশেই সুলভে সর্বোচ্চ মাত্রার স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারেন সে লক্ষ্যেই এ প্রকল্পটির অনুমোদন দেন জানা গেছে।
চার বছর মেয়াদী এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ব্যয় ১৩৬৬.৩৩৭২ কোটি টাকা। এরমধ্যে ১০৪৭.৩৩৮৪ কোটি টাকা সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা পাওয়া গেছে। একনেক সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, বিএসএমএমইউ ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খান, উপ-প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. নূর-ই-এলাহী (মীম) উপস্থিত ছিলেন।
এমইউ/এনএফ/পিআর