ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে মৎস্য সেক্টরের ভূমিকা অপরিসীম: রাষ্ট্রপতি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:২৯ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২২

আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে মৎস্য সেক্টরের ভূমিকা অপরিসীম বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

তিনি বলেছেন, ‘মাছে ভাতে বাঙালি’- এ শাশ্বত পরিচয়েই নিহিত রয়েছে আমাদের জাতীয় জীবনে মৎস্য খাতের গুরুত্ব। দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর আমিষের চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে মৎস্য সেক্টরের ভূমিকা অপরিসীম। সরকার মৎস্য খাতের অপার সম্ভাবনা ও গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে এর উন্নয়নে নানা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

রোববার (২৪ জুলাই) ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, এবারের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। মৎস্য খাতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ধারণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মৎস্য চাষকে যান্ত্রিকীকরণ ও নিবিড় করণের মাধ্যমে খামারের উৎপাদনশীলতা ও উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছসহ প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজাতির প্রাচুর্য রক্ষায় উন্মুক্ত জলাশয়ের পরিবেশ উন্নয়নসহ জলজ দূষণ রোধকল্পে আরও কার্যকর ও সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

আবদুল হামিদ বলেন, উন্মুক্ত জলাশয়ের টেকসই সংরক্ষণ ও বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থাপনা এবং বদ্ধ জলাশয়ে উন্নত প্রযুক্তির মৎস্য চাষ সম্প্রসারণ ও মৎস্য চাষিদের লাগসই প্রশিক্ষণসহ সুপরিকল্পিত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণের ফলে দেশ আজ মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এছাড়া আমাদের বিশাল সমুদ্র এলাকায় ব্লু-ইকোনমির অবারিত সুযোগকে কাজে লাগাতে সামুদ্রিক মৎস্যের ধারাবাহিক মজুত নিরূপণ, সংরক্ষণ ও বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থাপনা প্রবর্তনের মাধ্যমে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের টেকসই উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে গণভবন লেকে পোনা মাছ অবমুক্ত করে মৎস্য উৎপাদনে সামাজিক আন্দোলনের শুভ সূচনা করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সুখী-সমৃদ্ধ-উন্নত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে মৎস্য খাতের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করবেন- এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।

এইচএস/আরএডি/জেআইএম