ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বিএম ডিপোর অক্ষত কনটেইনারে সাড়ে ১৫শ টিইইউ’স পণ্য

ইকবাল হোসেন | প্রকাশিত: ১০:২০ পিএম, ১৯ জুন ২০২২

# কাঁচামালের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন
# অনুমতি না পাওয়ায় রপ্তানিপণ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা উদ্যোক্তাদের
# ডিপো কর্তৃপক্ষ বলছে, অনুমতি পাওয়া মাত্রই শিপমেন্ট এবং খালাস সম্ভব
# কাস্টমস কমিশনার বলছেন, আবেদন পাওয়া গেলে ডিপো ভিজিট করে অপারেশন চালানোর মতো সক্ষম মনে হলে অনুমতি দেওয়া হবে

বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের পর দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। গত ৪ জুন রাত ৯টায় অগ্নিকাণ্ড শুরু হওয়ার পর থেকে ডিপোর অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন চিঠি দিয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই অফডকের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্পন্নের লক্ষ্যে আমদানি ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য ও্ই ডকে সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াকরণের লক্ষ্যে কোনো ‘বিল অব এন্ট্রি’ বা ‘বিল অব এক্সপোর্ট’ দাখিল না করার নির্দেশনা দেয় চট্টগ্রাম কাস্টম কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণের পর পুরো ডিপোকে ব্যবহার উপযোগী করার পাশাপাশি বন্দর ও কাস্টমসের পদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পণ্যভর্তি কনটেইনারগুলো পরীক্ষার কাজ শুরু করে ডিপো কর্তৃপক্ষ।

ক্ষতিগ্রস্ত ডিপোতে পণ্যভর্তি ১ হাজার ৫৫০ টিইইউস পণ্য অক্ষত পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৮৫০ টোয়েন্টি-ফুট ইকুইভালেন্ট ইউনিট (টিইইউ) রপ্তানিপণ্য এবং ৭০০ টিইইউ’স আমদানিপণ্য ভর্তি কনটেইনার রয়েছে। এসব কনটেইনারে তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার, অ্যাগ্রো প্রসেস ফুডসহ নানা রপ্তানি পণ্য রয়েছে। আবার আমদানি পণ্যের মধ্যেও খাদ্যসামগ্রীসহ নানা কাঁচামালসহ রয়েছে প্যাকেজিং সামগ্রী।

jagonews24

পণ্যগুলো প্রায় অক্ষত অবস্থায় থাকলেও রপ্তানিপণ্য জাহাজীকরণ এবং আমদানিপণ্য খালাস নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানিকৃত কাঁচামালের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে রপ্তানিপণ্যগুলোর জাহাজীকরণের মেয়াদ পেরিয়ে যাচ্ছে। চুক্তি মোতাবেক নির্ধারিত সময়ে পণ্য পাঠাতে না পারায় অর্ডার হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে অনেক রপ্তানিকারকের। আবার রপ্তানিপণ্যের মধ্যে থাকা পচনশীল খাদ্যপণ্য নিয়েও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানিকারকদের দুশ্চিন্তা বেড়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাস্টমসের অসহযোগিতার কারণে বিএম ডিপোতে অক্ষত পণ্যগুলোর রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে। তবে বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষ বলছে, কাস্টমসের অনুমতি মিললে আজ-কালের মধ্যেই শিপমেন্ট করতে সক্ষম তারা।

তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪১টি প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা বিজিএমইএকে পাঠিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত তৈরি পোশাক যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চীন, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্কে যাওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে বেশিরভাগ পণ্যের ক্রেতা সুইডেনভিত্তিক বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড ‘এইচঅ্যান্ডএম’। এছাড়া ‘টার্গেট’, ‘ওয়ালমাট’, ‘টপ গ্রেড’, ‘গ্যাস্টন’, ‘ওলওর্থস’, ‘ফিলিপস ভ্যান হিউসেন’, ‘পিভিএইচ’, ‘এমবিএইচ’, ‘চ্যাপ্টার ওয়ান স্পোর্টস ওয়্যার’, ‘সিঅ্যান্ডএ বায়িং’, ‘নিউ ফ্রন্টেয়ার’, ‘রচি ট্রেডার্স ইনকরপো’, ‘ও বিএএসএস’র কেনা পণ্যও ছিল।

ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে চট্টগ্রামের সি-ব্লু অ্যান্ড সি টেক্সটাইলস লিমিটেডের ১৬ লাখ ২৫ হাজার ২৫৫ ডলার, অ্যারো ফেব্রিক্স প্রাইভেট লিমিটেডের ৩ লাখ ২০ হাজার ৫০০ ডলার, ক্লিফটন গ্রুপের তিন প্রতিষ্ঠান ক্লিফটন টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলস লিমিটেড, ভেনচুরা (বাংলাদেশ) লিমিটেড, ক্লিফটন কটন মিলস লিমিটেডের ২ লাখ ৯৮ হাজার ১৯০ ডলার, সুজি ফ্যাশনস লিমিটেডের ৪৪ হাজার ২২৬ ডলার, এভালন ফ্যাশন লিমিটেডের ২ লাখ ১৪ হাজার ৪২৯ ডলার, স্যানটেক্স অ্যাপারেলস লিমিটেডের ১ লাখ ৩৯৪ ডলার, ডিভাইন ইনটিমেটস লিমিটেডের ৩১ লাখ ৩৫ হাজার ৪৯৩ ডলার, ডিভাইন ডিজাইন লিমিটেডের ১ লাখ ৫৫ হাজার ১৪৪ ডলার, বিলামি টেক্সটাইল লিমিটেডের ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫ ডলার, প্যাসিফিক জিনস্ লিমিটেডের ১৩ লাখ ডলার, কেডিএস অ্যাপারেলস লিমিটেডের ১ লাখ ৫২ হাজার ৪৭৮ এবং কেডিএস গার্মেন্টস লিমিটেডের ২ লাখ ৩৬ হাজার ৭ ডলারের পোশাক ছিল।

সেখানে ঢাকাসহ দেশের অন্য জেলার পোশাক রপ্তানিকারকদের মধ্যে স্টার্লিং ডেনিমস লিমিটেডের ১২ লাখ ৯ হজার ১৭২ ডলার, হপ ইক (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭৩১ ডলার, ক্রিসেন্ট ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইড লিমিটেডের ৯ লাখ ২ হাজার ১৫৭ ডলার, পাইওনিয়ার নিটওয়্যার (বিডি) লিমিটেডের ১০ লাখ ৮৯ হাজার ১৫৭ ডলার, কলম্বিয়া অ্যাপারেলস লিমিটেডের ১২ লাখ ১৫ হাজার ৭২৩ ডলার, কলম্বিয়া গার্মেন্টস লিমিটেডের ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৫১৭ ডলার, এসএম নিটওয়্যারস লিমিটেডের ১১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৬৭ ডলারের পোশাক ছিল।

jagonews24

এছাড়াও শিন শিন অ্যাপারেলস, কেএ ডিজাইন, জেএফকে ফ্যাশন, একেএইচ নিটিং অ্যান্ড ডাইং, ভার্সাটাইল টেক্সটাইল, রিও ফ্যাশন, ভিশন অ্যাপারেলস, ইমপ্রেস-নিটেক্স কম্পোজিট টেক্সটাইল, আমান টেক্সটাইল, আয়েশা ক্লথিং, আসওয়াদ কম্পোজিট, আরকে নিট, টিআরজেড, রেমি হোল্ডিংস, টারাসিমা অ্যাপারেলস, কেসি বটম অ্যান্ড শার্টস, ভ্যানগার্ড গার্মেন্টস, মাশিয়াতা সুয়েটার্স, চৈতি কম্পোজিট, নিউওয়েজ অ্যাপারেলস, কেইলক নিউওয়েজ বাংলাদেশ, আরাবি ফ্যাশন, দিগন্ত সুয়েটার্স, তাকওয়া ফেব্রিক্স, ফাউন্টেন গার্মেন্টস, ম্যাগপি কম্পোজিট, পিমকি অ্যাপারেলস, অনন্ত অ্যাপারেলস, একেএইচ ইকো অ্যাপারেলস, একেএইচ ফ্যাশনস্, নিট এশিয়া লিমিটেড, অরুনিমা স্পোর্টস ওয়্যার, টার্গেট ফাইন নিট, হেসং কোরিয়া লিমিটেড, সেটার্ন টেক্সটাইলস, ক্রিসেন্ট ফ্যাশনের পণ্য ছিল ডিপোতে।

এ বিষয়ে রোববার (১৯ জুন ) দুপুরে কথা হয় বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রকিবুল আলম চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বিএম ডিপোতে এখনো অনেক অক্ষত কনটেইনার রয়েছে। এখানে কী পরিমাণ এক্সপোর্ট গুডস (আমাদনিপণ্য) ও ইমপোর্ট গুডস (রপ্তানিপণ্য) রয়েছে সেগুলোর সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সহযোগিতাও পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, রপ্তানিপণ্য ভর্তি যেসব কনটেইনার অক্ষত রয়েছে, সেগুলোর শিপমেন্ট জরুরি। ঠিক সময়ে পণ্য না পাওয়ায় বায়াররা আমাদের ওপর চাপ তৈরি করছেন। আবার এই রপ্তানির সঙ্গে দেশের অর্থনীতি জড়িত, দেশের স্বার্থ জড়িত। এ বিষয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের দ্রুত সিদ্ধান্ত দেওয়া উচিত।

বাংলাদেশের নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ চট্টগ্রামের পরিচালক গাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, আমদানিপণ্যের কারণে বিশেষত কাঁচামালের জন্য কিছু প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনে সমস্যা হচ্ছে। তবে রপ্তানিপণ্যগুলো নিয়ে দুশ্চিন্তা বেশি। কনটেইনারগুলো শুধু অক্ষত থাকলেই হবে না। যেহেতু অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। কনটেইনারগুলোতে ধোঁয়া ঢুকলে বায়াররা (আমদানিকারক) পণ্য নেবে না। এজন্য প্রতিটি কনটেইনার আবার কারখানায় নিয়ে পণ্য চেক করতে হবে।

তিনি বলেন, ডিপোতে পণ্য হস্তান্তর করার পর আবার চাইলেও পণ্য ফেরত নেওয়া সহজ নয়। এক্ষেত্রেও কিছু প্রসিডিউর রয়েছে। সবমিলিয়ে কাস্টমস, শিপিং এজেন্ট, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ- সবাইকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয়, চতুর্পক্ষীয় মিটিং চলছে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যাচ্ছে না।

জানা গেছে, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বিএম কনটেইনার ডিপোতে রপ্তানির পোশাক বাদেও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসহ আরও নানা পণ্য ছিল। দেশের খ্যাতনামা ও শীর্ষস্থানীয় খাদ্যপণ্য রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের রপ্তানিপণ্যও ছিল। ৪ জুন রাতে অগ্নিকাণ্ডের আগে বিভিন্ন দেশে রপ্তানির লক্ষ্যে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ৩৫ লাখ ১১ হাজার ৭৩৪ ডলার মূল্যমানের ২ লাখ ১৯ হাজার ২০৪ কার্টন পণ্য বিএম ডিপোতে পাঠানো হয়েছিল।

এ বিষয়ে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (এক্সপোর্ট) মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বিএম ডিপোতে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের রপ্তানিপণ্য ভর্তি ১০০ এর কাছাকাছি কনটেইনার ছিল। যেগুলো অগ্নিকাণ্ডের আগে শিপমেন্টের জন্য পাঠানো হয়। অনেকগুলো কনটেইনার শিপমেন্টের অপেক্ষায় ছিল।

jagonews24

তিনি বলেন, আগুনে পোড়েনি এমন অনেক কনটেইনারও সেখানে রয়েছে। এখন আমাদের কী পরিমাণ কনটেইনার অক্ষত রয়েছে, সেটা জানা খুবই জরুরি। যেসব কনটেইনার অক্ষত রয়েছে, সেগুলোর প্রতিটি খুলে দেখতে হবে, পণ্যের বর্তমান অবস্থা জানতে হবে। যে পণ্যগুলোর মান ভালো রয়েছে কিংবা রপ্তানি উপযোগী রয়েছে, সেগুলো দ্রুত শিপমেন্ট করা যেতো। কিন্তু ডিপোতে সব ধরনের অপারেশন (কার্যক্রম) বন্ধ থাকায় আমরা বিপাকে পড়েছি। আমরা এরই মধ্যে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে চিঠিও দিয়েছি।

বেসরকারি কনটেইনার ডিপো মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) তথ্যমতে, ৪ জুন দুর্ঘটনার দিন বিএম কনটেইনার ডিপোতে ৪ হাজার ৩১৮টি কনিটেইনার ছিল। এর মধ্যে ২ হাজার ৮৯৭টি ছিল খালি। ১ হাজার ২১টিতে আমদানি-রপ্তানির পণ্য ছিল।

এর মধ্যে কমবেশি ৯০০ কনটেইনারে প্রায় ১ হাজার ৫৫০ টিইইউস পণ্য অক্ষত রয়েছে বলে বিএম কনটেইনার ডিপোর মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ক্যাপ্টেন মাইনুল আহসান খান জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডে আমাদের আমদানির কোনো কনটেইনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আমদানিপণ্য ভর্তি সবগুলো কনটেইনার অক্ষত রয়েছে। ৪০০টির মতো কনটেইনারে ৭০০ টিইইউসের মতো আমদানিপণ্যের কনটেইনার ছিল। আবার রপ্তানিপণ্য ভর্তি আনুমানিক ৫০০টি কনটেইনার অক্ষত রয়েছে। যেখানে সাড়ে ৮০০ টিইইউস রপ্তানিপণ্য ছিল। সবমিলিয়ে ১ হাজার ৫৫০ টিইইউস পণ্য অক্ষত রয়েছে। যেগুলো চাইলেই এখন রপ্তানি কিংবা খালাস সম্ভব।

এ কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। অনুমোদন পাওয়া মাত্রই এসব কনটেইনার শিপমেন্ট করা সম্ভব। আজ হলে আজ কিংবা কাল হলে কাল থেকেই পণ্য শিপমেন্ট এবং খালাসের যাবতীয় প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।

তবে এ বিষয়ে ভিন্ন বক্তব্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষের। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কমিশনার মো. ফখরুল আলম রোববার সন্ধ্যায় জাগো নিউজকে বলেন, যারা যারা নিষ্পত্তির জন্য আবেদন দিয়েছেন, তাদেরগুলো আমরা নিষ্পত্তির পদক্ষেপ নিয়েছি।

ডিপো কর্তৃপক্ষের অপারেশনের আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ডিপো কর্তৃপক্ষের আবেদনটি যাচাই-বাছাই করবো। সরেজমিনে ডিপো পরিদর্শন করবো, তারা অপারেশনের জন্য সক্ষম কি না। ডিপো অপারেশনের উপযোগী না হলে অনুমোদন দিয়ে তো কোনো লাভ হবে না।

গত ৪ জুন (শনিবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। রাত ১০টার পর আগুনের খবর ছড়িয়ে পড়ে। ১২টার পর থেকে আসতে থাকে মৃত্যু খবর। সময় যত গড়াতে থাকে, মৃতের সংখ্যাও তত বাড়তে থাকে।

এ দুর্ঘটনায় আহত হন দুই শতাধিক মানুষ। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা-শিশু হাসপাতাল, পার্কভিউ হসপিটালসহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটেও ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে কেউ কেউ চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরলেও অনেকে এখনো চিকিৎসাধীন।

এদিকে এ দুর্ঘটনায় সবশেষ ৪৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

ইএ/জিকেএস