শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইউপি নির্বাচন করতে চায় ইসি
নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. জাবেদ আলী বলেছেন, দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের কারণে গ্রামের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। গ্রামের শান্ত পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা করছে ইসি।
সোমবার দুপুরে ইসি সচিবালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মো. জাবেদ আলী বলেন, দলীয়ভাবে ইউপি নির্বাচনে কোনো ধরনের হামলা হবে না। আশা করি, গ্রামের সাধারণ মানুষ যারা রাজনীতি করেন তারা কোনো ধরনের ঝামেলা করবেন না। এছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকায় পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ করা হবে।
নির্বাচনী বিধিমালা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইউপি নির্বাচনের বিধিমালা সময় মত আমাদের হাতে পৌঁছাবে। এখনও তো সময় আছে। ফেব্রুয়ারির ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে বিধিমালা হাতে পেলে আমরা ওই মাসের মাঝামাঝিতে তফসিল ঘোষণা করতে পারলে যথেষ্ট সময় নিয়ে নির্বাচন করতে পারবো। তফসিলের পর ৪৫ দিন হাতে রাখলে আশা করি প্রার্থীরা গোজগাছ করে নিতে পারবেন। নির্বাচনী আমেজ বেশি দিন ধরে বিরাজও করবে বলেও জানান তিনি।
প্রথম ধাপে কয়টি ইউপিতে নির্বাচন হবে এ বিষয়ে জাবেদ আলী বলেন, তালিকা এখনও সুনির্দিষ্ট হয়নি। তবে যেসব ইউপির মেয়াদ আগে শেষ হবে সেগুলোর নির্বাচন প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভা নির্বাচনে এমপিদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয় তুলে ধরে ইউপিতে এ বিষয়ে কি পদেক্ষেপ নেয়া হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে ক্রুটি-বিচ্যুতির খবর পেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করার চেষ্টা করেছি। তারপরও দুই একটি ক্রুটি-বিচ্যুতি ঘটেছে। তবে ইউপি নির্বাচনে যাদের যাওয়ার কথা না তারা নির্বাচনী কাযক্রমে যাবে না।
এইচএস/একে/পিআর