ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষায় সমন্বিত কাঠামো গড়তে কর্মশালা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:০৮ পিএম, ১৫ জুন ২০২২

পাচারের শিকার জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সব সেবা কার্যক্রম নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক সার্বজনীন সেবা কাঠামো গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।

তারা বলেন, মানবপাচার প্রতিরোধ ও ভিকটিমের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সব সেবা কার্যক্রম নিশ্চিত করা কোনো একক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। তাই সমন্বিত সেবা কার্যক্রম নিশ্চিতকরণ ও পরিচালনার জন্য প্রয়োজন একটি আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক ও সমন্বিত সেবা প্রদান কাঠামো। এ লক্ষ্যে প্রস্তাবিত জাতীয় রেফারেল ব্যবস্থায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে একটি সমন্বিত সেবা কার্যক্রমের আওতায় এনে সুরক্ষাসেবা প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।

বুধবার (১৫ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘মানবপাচারের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা প্রদানে সমন্বিত রেফারেল কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে রোডম্যাপ’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে ঢাকায় সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উইনরক ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোগে ইনসিডিন বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, বেসরকারি খাতের শীর্ষ কর্মকর্তা ও মানবপাচার নিয়ে কাজ করা সরকারি-বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তারা।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম মুখলেসুর রহমান। আরও অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স সুজান মুলার। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব ঈশিতা রনি। সভা সঞ্চালনা করেন ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী।

আখতার হোসেন বলেন, মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ (বিধি ২০১৭) এবং এরই ধারাবাহিতায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২০২২ এর আওতায় দেশব্যাপী মানবপাচার দমন ও প্রতিরোধ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করেছে। যা পাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের কয়েকটি বলিষ্ঠ পদক্ষেপের অংশ। এর স্বীকৃতি হিসেবে, যুক্তরাষ্ট্রের মানব পাচার সংক্রান্ত বিশ্ব প্রতিবেদনে এখন বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় স্তরে উঠে এসেছে।

জাতীয় রেফারেল কাঠামোর গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, রেফারেল কাঠামো বহুপাক্ষিক সমন্বয় নিশ্চিত করতে পারে, যা পাচার পরবর্তী সেবাসমূহকে আরও কার্যকর করে তুলবে।

তিনি এই কার্যক্রমে এগিয়ে আসার জন্য সুইজারল্যান্ড দূতাবাসকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।

কর্মশালায় এ কে এম মুখলেসুর রহমান বলেন, জাতীয় রেফারেল কাঠামোটি গড়ে তুলতে এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে কাজ করে চলেছে জাতীয়, আন্তর্জাতিক এবং জাতিসংঘ ভিত্তিক বিভিন্ন সংস্থা। এই কাঠামো একদিকে যেমন পাচারের শিকার ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বয়ে সঠিক সেবা পৌঁছে দেবে, অন্যদিকে ২০১২ সালের আইনের সঠিক বাস্তবায়নেও ভূমিকা রাখবে।

সুজান মুলার তার বক্তব্যে মানব পাচার ভিকটিমের সুরক্ষায় জাতীয় রেফারেল কাঠামো প্রণয়নে বাংলাদেশ সরকারকে অব্যাহত সহায়তা প্রদান করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়ার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।

এইচএ/কেএসআর/জিকেএস