প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান নীতি চূড়ান্ত
নিরাপদ অভিবাসন, অভিবাসী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা দিতে নীতি গ্রহণ করেছে সরকার। এ লক্ষ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান নীতি-২০১৬ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নীতিমালার খসড়া অনুমোদন পায়।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অভিবাসন নিয়ে ২০০৬ সালের একটি সংক্ষিপ্ত নীতি ছিল। সেটি পুনর্বিন্যাস করে আরো বিস্তারিতভাবে নতুন এই নীতি করা হয়েছে।
সচিব জানান, নতুন নীতিতে নিরাপদ অভিবাসনে উৎসাহিত ও নিশ্চিত করা, অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা, অভিবাসী কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা ও কল্যাণ, নারী কর্মীদের অভিবাসন, জাতীয় উন্নয়নের সঙ্গে অভিবাসনকে সম্পৃক্ত করা এবং শ্রম অভিবাসনের সুষ্ঠু পরিচালনার বিষয়ে ‘নীতি-নির্দেশ’ রয়েছে।
নারী কর্মীদের শ্রম অভিবাসন নিয়ে নীতিতে আলাদা একটি অধ্যায় রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ বিষয়ে সরকারকে সমন্বিত কার্যক্রম নিতে বলা হয়েছে।
শফিউল আলম বলেন, নতুন নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সব বিষয়েই বলা আছে। কিছু নতুন আন্তর্জাতিক আইন হয়েছে, যার আলোকে এই নীতি নতুন করে লেখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান নীতি অনুসরণ করে সরকার প্রয়োজনে নতুন আইন বা বিধিমালা প্রণয়ন করতে পারবে। নীতিমালায় অর্থ, পররাষ্ট্র, বিমান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে তাদের দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়েছে। মানব পাচার রোধের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে।
এসএ/জেএইচ/এসএইচএস/আরআইপি