অবৈধভাবে সিলিন্ডার কেটে ইস্পাত কারখানায় বিক্রি, গ্রেফতার ৯
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় অবৈধভাবে এলপিজি সিলিন্ডার কেটে ইস্পাত কারখানায় বিক্রির সিন্ডিকেট প্রধান কুসুমসহ ৯ জনকে সিলিন্ডার কাটার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বুধবার (৮ জুন) থেকে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সকাল পর্যন্ত সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের তুলাতলী এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে প্রায় ১০ হাজার এলপিজি সিলিন্ডার ও দুই হাজার কাটা সিলিন্ডার জব্দ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এসব সিলিন্ডার বহনের কাজে ব্যবহৃত দুইটি ট্রাকও জব্দ করে র্যাব।
বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ। গ্রেফতারদের মধ্যে সিন্ডিকেটের তিনজনের নাম প্রকাশ করে র্যাব। তারা হলেন মো. ইসমাইল হোসেন কুসুম (৫১), স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা মো. মহসীন (৫১) এবং মো. নুরুন নবী (৪৮)।
এম এ ইউসুফ বলেন, এলপিজি কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য নিজেদের সিলিন্ডার কম দামে বাজারে বিক্রি করে। অথচ একটি খালি সিলিন্ডার তৈরিতে প্রত্যেক কোম্পানির ২৮শ টাকার মতো খরচ হয়। তাছাড়া এলপিজি নীতিমালা অনুযায়ী কোনো সিলিন্ডারের আকৃতি পরিবর্তন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু আসামিরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য চোরাইভাবে এলপিজি সিলিন্ডার কম দামে কিনে সেগুলো কেটে বিভিন্ন রি-রোলিং মিলে সরবরাহ করে থাকে। গ্রেফতাররা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন মুখ খুলতে সাহস পেতো না। এতে একদিকে পরিবেশ দূষিত হতো, অন্যদিকে ঝুঁকি থাকতো বড় দুর্ঘটনার।
এর আগে ২০২১ সালের ১২ জুলাই মহসিনের ডিপো থেকে কুসুমের কয়েক হাজার এলপিজি সিলিন্ডার জব্দ করে মামলা করে সীতাকুণ্ড থানা। মামলায় আসামি করা হলেও তাকে আটক করা হয়নি।
ইকবাল হোসেন/জেএস/বিএ/জিকেএস
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ পুলিশের দুর্বলতা ছিল বলেই ঘটনা সংঘর্ষের দিকে গেছে: উপদেষ্টা নাহিদ
- ২ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকে পুলিশ
- ৩ চিন্ময় কৃষ্ণ গ্রেফতারের প্রতিবাদে ডিবিতে সনাতনী মঞ্চের নেতারা
- ৪ সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহতের দাবি থেকে সরে এলো মোল্লা কলেজ
- ৫ বিমানবাহিনীর গোলাবর্ষণ মহড়া, ফায়ারিং এলাকা পরিহারের অনুরোধ