ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ আইনের সঠিক বাস্তবায়ন দাবি

প্রকাশিত: ০৮:০৬ এএম, ২৩ জানুয়ারি ২০১৬

রাজধানীসহ সারাদেশে পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন ও ব্যবহারে যে নিষিদ্ধ আইন রয়েছে তার সঠিক বাস্তবায়ন এবং দোষী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ বান্ধব শপিং ব্যাগ প্রস্তুতকারক অর্গানাইজেশন (বিইএসএমও)। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (বাপা) ও বিইএসএমও আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আইনের সঠিক বাস্তবায়ন না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা অবাধে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে। বর্তমানে পলিথিনের কাঁচামাল দিয়ে এক ধরনের টিস্যু পলিথিন উৎপাদন করা হচ্ছে। উৎপাদনকারীরা বলছে এটা ‘পরিবেশ বান্ধব’। কিন্তু আমরা বুয়েট থেকে টেস্ট করে দেখেছি, পলিথিনের মতই টিস্যু পলিথিন পরিবেশের জন্য ‘মারাত্মক ক্ষতিকর’।

বক্তারা আরো বলেন, সরকার ২০০২ সালে পলিথিন উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। এ ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ৬(ক) ধারাটি সংযোজন করা হয়। আইনের ১৫ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি নিষিদ্ধ পলিথিন সামগ্রি উৎপাদন, আমদানী বা বাজারজাত করে তাহলে ১০ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা, এমনকি উভয় দণ্ডও হতে পারে।

এছাড়া দ্রুত পলিথিনের শপিং ব্যাগের নিষিদ্ধ আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন ও আগামী ৯০ দিনের (তিন মাস) মধ্যে পলিথিন ব্যাগ ও টিস্যু পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে পলিথিনের কাচা মাল অপব্যবহার রোধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ, পলিথিন বিকল্প পরিবেশ বান্ধব কাগজ, চট ও কাপড়ের শপিং ব্যাগ ব্যবহারে জনসচেতনতা মূলক প্রচার প্রচারণা জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।

বিইএসএমও এর সভাপতি আব্দুল রহমান রানা, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল হাসান মুজাহিদ প্রমুখ এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

এএস/আরএস/এমএস