ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বন্দীর হাতকে কর্মীর হাতিয়ারে রূপান্তর করতে হবে

প্রকাশিত: ০৮:৩৬ এএম, ২০ জানুয়ারি ২০১৬

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বন্দীদের হাতকে কর্মীর হাতিয়ারে রূপান্তর করতে হবে। সারাবিশ্বে কারাগারের ধারণা রুপান্তরিত হয়ে সংশোধনাগারে পরিবর্তিত হচ্ছে। আমাদেরও সময় এসেছে এ বিষয়ে ভাবার।

‘এবারের অঙ্গীকার, কারাগার হোক সংশোধানাগার’ এ প্রতিপাদ্যে কারা সপ্তাহ ২০১৬ উদ্বোধন উপলক্ষে বুধবার সকালে গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ তে ‘পুনর্বাসন প্রশিক্ষণ স্কুল স্থাপন করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে বন্দীদের বিভিন্ন মেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য কারাগারগুলোতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সম্প্রসারিত করে সকল কারাগারে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে বন্দীদের হাতকে কর্মীর হাতিয়ার রূপান্তর করতে হবে।

Kamal

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশ ও জাতির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে জঙ্গি, শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং মাদক ব্যবসায়ীরা যাতে কারাগারের ভিতরে বসে অভিনব কায়দায় মোবাইল ফোন ও অন্যান্য নিষিদ্ধ দ্রব্য নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য লাগেজ স্ক্যানার, বডিস্ক্যানারসহ অত্যাধুনিক নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি সংযোজনের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ সকল যন্ত্রপাতি স্থাপনের মাধ্যমে কারা প্রশাসন ও এর নিরাপত্তাকে আরো সুদৃঢ় ও সমৃদ্ধশীল করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠান স্থলে এসে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান ও কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন তাকে স্বাগত জানান। প্রধান অতিথি সেখানে রাষ্ট্রীয় সালাম গ্রহণ ও প্যারেড পরিদর্শন করেন। পরে পায়রা উড়িয়ে কারা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন।

Kamal

তিনি কারা কর্মকর্তাবৃন্দকে র‌্যাংক ব্যাজ এবং সেরাজেল ও বিভাগকে ক্রেস্ট প্রদান করেন এবং কারারক্ষীদের অস্ত্রবিহীন যুদ্ধ মহড়া প্রদর্শন উপভোগ করেন। তিনি কারা সপ্তাহ উপলক্ষে কারাগার প্রাঙ্গণে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিরও উদ্বোধন করেন।

তিনি কেন্দ্রীয় প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র উদ্বোধন এবং সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও দিনাজপুর কারাগারের ফলক উন্মোচন করেন। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন, অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. ফজলুল কবীর, কারা উপ মহাপরিদর্শক মো. তৌহিদুল ইসলাম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ পিপিএম, গাজীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক সাবেক এমপি আখতারউজ্জামান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাবেক এমপি কাজী মোজাম্মেল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
            
আমিনুল ইসলাম/এসএস/এমএস