ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সস্তায় বিদ্যুৎ পেলে নেপালে হতে পারে বাংলাদেশের সার কারখানা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:১৬ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২২

সস্তায় বিদ্যুৎ পেলে নেপালে বাংলাদেশের সার কারখানা স্থাপন করা হতে পারে। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে বৈঠকে নেপালের বিদ্যুৎ, পানিসম্পদ ও সেচমন্ত্রী পম্পা ভূসালের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল সার কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব দেন। সস্তায় বিদ্যুৎ পেলে কৃষিমন্ত্রী প্রস্তাবের বিষয়ে নীতি-নির্ধারণী মহলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাস দেন।

বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। কৃষিমন্ত্রী বলেন, নেপালের ৯০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা আছে। নেপালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। তারা মূলত ভারতকেই বেশি বিদ্যুৎ দেয়। আমরা বলেছি, আমাদেরও বিদ্যুৎ দেন। তারা বলে আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে নেপালে সার তৈরির কারখানা করা হোক। যদি সস্তায় বিদ্যুৎ পাওয়া যায় তাহলে আমরা চিন্তা করতে পারি। কারণ সার তৈরিতে অনেক বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। আমি এই প্রস্তাবটি নিয়ে উচ্চমহলে নীতিনির্ধারণী মহলে আলোচনা করবো বলে জানিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা কাতার সৌদি আরব থেকে সার আমদানি করি, নেপালে যদি তাদের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে সার কারখানা স্থাপন করে সার আনি তাহলে অনেক কম দাম পড়বে। তারা এ প্রস্তাবটি দিয়েছে। এছাড়া আমরা পাহাড়ি কৃষির অভিজ্ঞতা তাদের কাছে চেয়েছি। আমরা বাদাম, কফি চাষ বাংলাদেশে প্রবর্তন করতে যাচ্ছি। অনেক গুরুত্ব দিচ্ছি ও অনেক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি সেক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো।

‘কৃষি ক্ষেত্রে আমাদের সাফল্য বা অর্জন রয়েছে। যেমন ধানের নতুন নতুন জাত আবিষ্কার করেছি। বিভিন্ন ফসল উৎপাদনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছি। আমাদের কৃষি অনেক উন্নত এজন্য নেপাল আমাদের কাছ থেকে সহযোগিতা চায়। তারা চাচ্ছে উন্নত ধান, ডাল, আলু ও হাইব্রিড ভূট্টার জাত এগুলো আমরা নেপালে দিতে পারি। তারা সে ধরনের সহযোগিতা আমাদের কাছে চেয়েছে বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে।’

মন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি আরও সহযোগিতার হাত বাড়াবো। এজন্য আমাদের বিজ্ঞানীরা নেপাল যেতে পারে, তাদের বিজ্ঞানীরা বাংলাদেশে আসতে পারে। উন্নত জাতের বীজ তাদের দিয়ে আমরা সহযোগিতা করবো। কৃষির উন্নয়নের ক্ষেত্রে তারা আমাদের থেকে পিছিয়ে আছে বলবো না। আমাদের কৃষি ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে সহযোগিতা করার সুযোগ রয়েছে।

আরএমএম/এমআরএম/এএসএম