ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

মন্ত্রীদের এক হাত নিলেন সুরঞ্জিত

প্রকাশিত: ১২:৫৭ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০১৬

বেতন কাঠামো নিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলনে অচল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সচল করতে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নেয়ায় মন্ত্রীদের সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।     

সোমবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে এক আলোচনা সভায় মন্ত্রীদের সমালোচনা করেন তিনি। জাতীয় চার নেতার অন্যতম এম মনসুর আলীর ৯৮তম জন্মদিন উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আজকে একটি সমাধানে পৌঁছাবে এবং সবার জন্য গ্রহণযোগ্য একটি সমাধান আসবে বলে আমরা আশা করছি।

সুরঞ্জিত প্রশ্ন রেখে বলেন, সবকিছুর সমাধান প্রধানমন্ত্রীকেই করতে হবে কেন? সরকারের বাঘামন্ত্রী, আমলামন্ত্রী, সিংহমন্ত্রী ছাড়াও রাবিশ-খবিশ তো আছেনই। আপনারা এত দিন কোথায় ছিলেন?

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগ সব সময়ই সংবেদনশীল বলে দাবি করেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য।

৯ মাস আগে অষ্টম বেতন কাঠামোর প্রস্তাব আসার পর গ্রেডে অবনমনের প্রতিবাদে আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দাবি পর্যালোচনায় অর্থমন্ত্রীকে প্রধান করে শিক্ষামন্ত্রীসহ জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে সরকার।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করলেও কোনো ফল হয়নি। অর্থমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন বেতন কাঠামোর গেজেটে নেই অভিযোগ করে আন্দোলনে নামেন শিক্ষকরা।

দাবি আদায়ে গত সোমবার থেকে সারা দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন শিক্ষকরা, যাতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। অচলাবস্থা কাটাতে শিক্ষক সমিতির নেতাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বিকেলে গণভবনে ডাকেন।

এসময় বিএনপির সমালোচনা করে সুরঞ্জিত বলেন, “তারা একটি ক্ষমতা ও ষড়যন্ত্রধর্মী রাজনৈতিক দল। এর জন্যই কখনও পথ হারাচ্ছে, কখনও পথে আসছে।

তিনি বলেন, বিএনপি এখন নানা সঙ্কটে আছে। কোনটি আসল বিএনপি কোনটি নকল সেটা এক্স-রে করেও বের করা সম্ভব নয়। এমআরআই করতে হবে। ক্ষমতা ছাড়া তাদের কোনো রাজনৈতিক দর্শন নেই।

সম্প্রতি পুলিশের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের দুই কর্মকর্তাকে নির্যাতনের ঘটনায় এ বাহিনীরও সমালোচনা করে তিনি বলেন, রক্ষক যদি ভক্ষক হয়ে যায়, তবে এ ব্যাপারগুলো অত্যন্ত দুঃখজনক।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল হক টুকু ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য আব্দুল মান্নান বক্তব্য দেন।

এসএ/এসকেডি/আরআইপি