ঈদ বাজার-ঘরমুুখো মানুষের মাস্ক পরা নিশ্চিতের সুপারিশ

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে থাকলেও প্রতিবেশীসহ বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এর সঙ্গে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাজার, কেনাকাটা ও ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের সময় মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করায় সরকারকে সুপারিশ করেছে কমিটি।

এছাড়া তারাবির নামাজ ও ঈদ জামাতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার পরামর্শ ও জানায় পরামর্শক কমিটি।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সুপারিশ জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৫৭তম সভায় ছয়টি সুপারিশ গৃহীত হয়েছে।

ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে জুমের মাধ্যমে রোববার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা। সভায় কমিটির সদস্যের উপস্থিতিতে বিস্তারিত আলোচনা শেষে এই ছয়টি সুপারিশ গৃহীত হয়।

পরামর্শক কমিটির অন্যান্য সুপারিশগুলো হলো

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও পার্শ্ববর্তী দেশসহ এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, যা উদ্বেগজনক। জাতীয় কারিগরি কমিটি আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে, এখন থেকেই সতর্ক না হলে বাংলাদেশেও সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবক্ষেত্রে শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা বৃদ্ধি করতে হবে।

যেসব দেশে সংক্রমণের হার বেশি সেসব দেশ থেকে বাংলাদেশে আগমনের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন দেওয়া না থাকলেও কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিশ্চিত করা ও সকল বন্দরে জনগণের প্রবেশ পথে স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে।

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় হাসপাতালগুলোকে সতর্ক করতে হবে। এজন্য হাসপাতাল সমূহের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভা করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলতে হবে।

এছাড়া সভায় জিনোম সিকোয়েন্সিং ও সার্ভেলিয়েন্স জোরদার করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে পরামর্শক কমিটি।

এএএম/এমআরএম/এএসএম