প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পাচ্ছেন শিক্ষকরা : আলোচনা নিয়ে সংশয়
গণভবনে পিঠা উৎসবে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৪টায় এ পিঠা উৎসবে সস্ত্রীক আমন্ত্রণ পেয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদের মোট ৩০ জন। ফলে দীর্ঘ আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে কথা হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে। তবে শিক্ষকদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা হবে কি না এমন কোন তথ্য জানা যায়নি।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আজকের (সোমবার) অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে প্রধানমন্ত্রী দাওয়াত করে থাকেন। সে হিসেবে আমাদের সঙ্গে তার একটা সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে পারে। তবে এ সাক্ষাতে যে আমরা আনুষ্ঠানিক আলোচনা করবো বা কোনো কিছুর অবতারণা করবো এটা মনে হয় সম্ভব হবে না।
সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় তিনি বলেন, আমরা এটা আশাও করি না। আমরা মনে করি আজকের সাক্ষাতের ফলে পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের সাক্ষাতের পথ তৈরি হবে। তখন আমরা বিস্তারিত তুলে আনতে পারবো এবং আমরা আশা করি প্রধানমন্ত্রী আমাদের কথা শুনে আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নেবেন।
শিক্ষা সচিব বরাবর শিক্ষকদের প্রস্তাবনা পেশের কথা উল্লেখ করে এ শিক্ষক নেতা আরো বলেন, গতকাল (রোববার) আমরা শিক্ষা সচিব বরাবর আমাদের প্রস্তাবনাগুলো দিয়েছি। উনি তখন থেকে কাজ শুরু করেছেন। তবে বিষয়টি যেহেতু অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপর নির্ভর করে। সে হিসেবে তিনি কতক্ষণে এটা সমাধান করতে পারবেন তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের আগের দাবিগুলো পুনরায় ব্যক্ত করেছি। সিলেকশন গ্রেড এবং টাইম স্কেল আগে যেভাবে ছিল আমরা সেভাবেই চাই। আমরা সবসময় মিটিং করছি। আজকেও করবো। গণভবনে যাওয়ার জন্য আলাদা নয়। তবে ওখানে যাওয়ার আগে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বসবো।
ফরিদ উদ্দিন আরো বলেন, আমরা যাচ্ছি একটা দাওয়াতে। এখানে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ থাকবেন। সবার সঙ্গে দেখা করবেন, হায় হ্যালো করবেন। আমরা এখানে বড় কিছু আশা করি না। শুধু আশা করি পরবর্তী পর্যায়ে তার (শেখ হাসিনা) সঙ্গে দেখা হওয়ার পথ তৈরি হবে। যা সে সময় সমাধান হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আমরা দ্রুত সমাধানের আশা করি। আমরা চাই আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেন ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। এখন এটা নির্ভর করে সরকারের আন্তরিকতার উপর।
আজকে (পিঠা উৎসবে) প্রধানমন্ত্রী কী বলবেন, আর না বলবেন আমরা জানি না। তবে এর মাধ্যমে এটা সমাধান হতেও পারে আবার নাও হতে পারে বলেও জানান এ শিক্ষক নেতা।
এমএইচ/এআরএস/আরএস/এমএস