ইজতেমায় ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল মুসল্লিরা
টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে ৫১তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় দিন আজ। শুক্রবার ভোর থেকে এশা পর্যন্ত ইজতেমায় আগত মুসল্লিগণ উপমহাদেশের বিশিষ্ট আলেমদের গুরুত্বপূর্ণ বয়ান শুনেছেন। শনিবার বাদ ফজর থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো বয়ান শুরু হয়েছে।
বাদ ফজর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা মুহাম্মদ খোরশেদ। বাদ জোহর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা মুহাম্মদ ফারুক, বাদ আছর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ ও বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা মুহাম্মদ শওকত আলী।
ইজতেমার বয়ান শোনার পাপাশি মুসল্লিরা ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল রয়েছেন। সেই সঙ্গে ইজতেমার সব কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। দ্বীনের দাওয়াতের মেহনতের মাধ্যমে ইসলামকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার যে ব্রত মুসল্লিদের মধ্যে বিরাজ করছে। এর পূর্ণতা পাবে আগামি বছর বিশ্ব ইজতেমায়।
প্রথম পর্বের ইজতেমায় প্রায় তিন হাজার তাবলিগ জামায়াত তৈরি হয়েছে। দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে মসজিদে মসজিদে অবস্থান করবেন। আর দ্বীনের পথে মেহনতের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবেন। দ্বিতীয় পর্বেও প্রায় তিন হাজার জামায়াত তৈরি হবে বলে আশা করছেন ইজতেমা কর্তৃপক্ষ।
পৃথিবীর প্রায় শতাধিক বিদেশি রাষ্ট্র এবং বাংলাদেশর ১৬ জেলার লাখ লাখ মুসল্লি দুই পর্বের ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন। দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত রোববার বেলা সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তাবলীগ জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বীদের পরামর্শের ভিত্তিতে তাবলিগ জামায়াতের দিল্লীর মারকাজের শূরা সদস্য হযরত মাওলানা মুহাম্মদ সাদ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মোনাজাতে বাংলাদেশসহ সারা দুনিয়ার মানুষের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হবে।
আখেরি মোনাজাতে দেশ বিদেশের প্রায় ৩০/৩৫ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেবেন বলে আয়োজকদের ধারণা।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, স্থান সঙ্কুলানসহ বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন অসুবিধার কথা বিবেচনা করে ২০১১ সাল থেকে দুই দফায় বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হচ্ছে। যারা প্রথম পর্বে বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিয়েছেন তারা দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে পারবেন না। এ বছর ৩২টি জেলা দুই পর্বে ইজতেমায় অংশ নিয়েছে। বাকী ৩২ জেলার মুসল্লিরা ২০১৭ সালের বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দেবেন।
আমিনুল ইসলাম/এমজেড/এমএস