সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তাকেও পেটালো পুলিশ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক গোলাম রাব্বির পর এবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এক সুপারভাইজারকে পিটিয়েছে পুলিশ। নির্যাতিত ব্যক্তির নাম বিকাশ চন্দ্র দাস (৪০)। যাত্রাবাড়ি থানা পুলিশের এক সদস্য তাকে পিটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ির ধোলাইপাড় এলাকায় বিকাশ চন্দ্র দাসকে পিটিয়েছে পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনি শংকর ও ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ইনচার্জ মোজাম্মেল হক।
আহতের বরাত দিয়ে আত্মীয় সুজন জানান, শুক্রবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে ধোলাইপাড় এলাকা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাত্রাবাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন বিকাশ। এ সময় ওই এলাকায় পুলিশের সিভিল টিম টহলরত ছিল। পুলিশ সদস্যরা বিকাশকে দাঁড়াতে বললে বিকাশ তাদেরকে ছিনতাইকারী মনে করে মোটরসাইকেল টান দিয়ে আবারো ধোলাইপাড় এলাকার দিকে চলে আসেন।
পরে যাত্রাবাড়ি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশারাফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের টহল টিম ধোলাইপাড় এলাকায় বিকাশকে আটক করে। এসময় এসআই আশারাফুল তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে বিকাশকে আঘাত করেন। সঙ্গে সঙ্গে মোটরসাইকেল নিয়ে পড়ে যান বিকাশ। পুলিশ নেমে তার ঘাড় ধরে গালমন্দ করে। পরে সিটি কর্পোরেশন সুপারভাইজার জানার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
বিকাশ বলেন, আমি পুলিশের সিগন্যাল বুঝতে পারিনি। ভেবেছিলাম তারা ছিনতাইকারী। গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে আক্রমন করে পুলিশ। তাদের কাছে নিজের পরিচয় দেই। পরিচয় পাওয়ার পরও এসআই আশরাফ গালি দিতে থাকেন।
বিকাশ আরো বলেন, লাঠির আঘাতে মাথা ফেটে রক্ত বের হতে থাকলেও আরো কয়েকবার আঘাত করেন এসআই আশরাফ। এক সময় পকেটের ওয়্যারলেস দেখে আমাকে ফেলে চলে যায়।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) অবনি শংকর জাগো নিউজকে বলেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন ঘটনার অবতারণা। সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা তা বোঝা যায় নি। এ ছাড়া আহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল তার অবসান হয়েছে।
ওসি বলেন, বিষয়টি এরপরেও আমরা তদন্ত করে দেখছি। দায়িত্বে গাফিলতি কিংবা অন্য কোনো অসৎ উদ্দেশে তাকে আটক করার চেষ্টা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জেইউ/এআরএস/এমএস