ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

নবায়নযোগ্য শক্তির সম্প্রসারণ-সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার: মন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৪:৫৭ এএম, ২৬ মার্চ ২০২২

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির সম্প্রসারণ, জ্বালানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সম্ভাব্য টেকসই জ্বালানি অন্বেষণে কাজ করছে সরকার। বাংলাদেশ সৌর প্যানেলের ওপর কর ছাড়ের পাশাপাশি দেশে সৌরশক্তি স্থাপনের জন্য অনুদান এবং রেয়াতি ঋণসহ বিভিন্ন নীতিগত উদ্যোগ এবং আর্থিক পরিকল্পনা নিচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিশ্বের অন্যতম বিস্তৃত অভ্যন্তরীণ সৌরশক্তি কর্মসূচি রয়েছে। বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষকে সৌর বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সারাদেশে ৬ মিলিয়নেরও বেশি সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করেছে।

শুক্রবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আন্তর্জাতিক নবায়নযোগ্য শক্তি সংস্থার (আইআরইএনএ) মহাপরিচালক ফ্রান্সেসকো লা ক্যামেরার সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।

পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ডিজেল চালিত সেচ ব্যবস্থাকে সৌর সেচ পাম্প দিয়ে প্রতিস্থাপন করছে, যা অ-সেচ সময়কালে জাতীয় গ্রিডে সৌর বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য গ্রিড ইন্টিগ্রেশন সিস্টেম থাকবে। সম্প্রতি আমরা নগরে এবং শিল্প এস্টেটের ছাদে সৌরবিদ্যুৎ প্রচারের জন্য নেট মিটারিং নির্দেশিকা গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২১ মার্চ ২০২২ এ শতভাগ বিদ্যুৎ কভারেজ ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার কম কার্বন উন্নয়নের পথ অনুসরণ করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে। সরকার একটি বিস্তৃত জলবায়ু পরিবর্তন এবং কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে ছয়টি স্তম্ভের মধ্যে একটি হিসাবে প্রশমন এবং কম কার্বন উন্নয়ন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এরইমধ্যে ১২ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক বিনিয়োগের ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করেছে। আমরা সম্প্রতি জাতীয় সৌরশক্তির রোডম্যাপ তৈরি করেছি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের ৪০ শতাংশ শক্তি পুনর্ব্যবহারযোগ্য উৎস্য থেকে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছি। উপরন্তু, আমরা ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পন’ নামের একটি কৌশলগত বিনিয়োগ কাঠামো বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে টেকসই শক্তির রূপান্তরকে উৎসাহিত করতে, সাশ্রয়ী মূল্যে সবুজ এবং উন্নত প্রযুক্তির স্থানান্তর নিশ্চিত করতে হবে। দেশে নবায়নযোগ্য শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারে আইআরইএনএ প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

মো. শাহাব উদ্দিন প্যারিস চুক্তির প্রকৃত প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী শক্তি পরিবর্তন ত্বরান্বিত করতে সদস্য দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতার সুবিধার্থে আইআরইএনএ-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন।

আন্তর্জাতিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি সংস্থার মহাপরিচালক ফ্রান্সেস্কো লা ক্যামেরাও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

এমইউ/এমকেআর