ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের

প্রকাশিত: ০৬:০৪ এএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৬

অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহাল রাখার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতি দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে। ফলে ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শ্রেণিকক্ষে ঝুলছে তালা, বন্ধ রয়েছে সব ক্লাস ও পরীক্ষা। এ পরিস্থিতিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।

মঙ্গলবার কর্মবিরতি চলাকালে সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, আমরা তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করছি না। উনি যদি আমাদের কথা শুনতেন তাহলে তিনি এ ধরণের বক্তব্য দিতেন না। তিনি যা বলছেন তা এক পেশে মন্তব্য। শিক্ষকরা তার বক্তব্যে মর্মাহত ও লজ্জিত। আমরা বেতন-ভাতা বৃদ্ধি চাচ্ছি না। আমরা আমাদের সম্মানের জায়গা অক্ষুণ্ণ রাখতে এ কর্মবিরতি পালন করছি।”

অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “শিক্ষকদের যারা মর্যাদা দিবে না, আমারা বলতে পারি তাদেরকে আমরা সঠিকভাবে শিক্ষা দিতে পারছি না। আজকে যারা আমাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়িয়েছেন, আমরা তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে মনে করি না। তাদের সঙ্গে আমাদের তুলনা কিভাবে করবেন, কারণ আমরাইতো তাদের জন্ম দিচ্ছি। কারো সঙ্গে কারো তুলনা হয় না, সবাই সবার জায়গা থেকে সতন্ত্র।”

তিনি আরো বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে আবারো আহ্বান জানাবো আপনি বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। এতো বেতন বৃদ্ধির পরও কেন সবাই ক্ষুব্ধ। দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনি নিরপেক্ষ সোর্স থেকে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখুন। তাহলে শিক্ষকদের সম্পর্কে আপনি যে ধরণের কটু বাক্য বলেছেন, এগুলো আপনি আর বলবেন না।”

প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের ব্যাপারে তিনি বলেন, “গত আট মাস যাবত আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাচ্ছি। কিন্তু আমরা সে সুযোগ পাইনি। আমি মনে করি আমরা যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পাঁচ মিনিট কথা বলতে পারি তাহলে আমাদের বিষয়গুলো সমাধান হবে। আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে পারবো। শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়ুক আমরা এটা চাই না। আমরা এ আন্দোলন দীর্ঘদিন চালিয়ে যেতেও চাই না।”

ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, “একটা প্রফেশনকে রাষ্ট্র যদি দরকার না মনে করে তখনই সেটিকে অবনমন করতে পারে। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে সে প্রফেশনকে বন্ধও করে দিতে পারে। যদি রাখতেই হয় তাহলে মর্যাদা দিয়ে রাখতে হবে। আমাদের আন্দোলন মর্যাদার আন্দোলন, আমরা মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন চালিয়ে যাব।”

এদিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি চলছে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধুমাত্র সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এমএইচ/আরএস/পিআর

আরও পড়ুন