ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পৌর নির্বাচনে জামানত হারালো আ. লীগের ২ ও বিএনপির ৩৫ প্রার্থী

প্রকাশিত: ০৫:২১ এএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৬

দেশে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হওয়া পৌরসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২ জন এবং বিএনপির ৩৫ জন  মেয়র প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এছাড়া নির্বাচনে অংশ নেয়া বাকি ১৮টি দলের অন্তত ২শ` মেয়রপ্রার্থী ও ২৫০ স্বতন্ত্র প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। পৌরসভার প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

ইসি সূত্র জানায়, নির্বাচনে বগুড়ার নন্দিগ্রাম ও পাবনার চাটমোহরে মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থী। আর ওই দুই পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) জামানত হারিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো প্রাথমিক ফলাফল বার্তাশিট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবার পৌরসভা নির্বাচনে অনধিক ২৫ হাজার ভোটার সম্বলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য ১৫ হাজার টাকা, ২৫ হাজার ১ থেকে ৫০ হাজার ভোটার সম্বলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য ২০ হাজার টাকা, ৫০ হাজার ১ থেকে ১ লাখ ভোটার সম্বলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য ২৫ হাজার টাকা এবং ১ লাখ বা তদুর্ধ্ব ভোটার সম্বলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য ৩০ হাজার টাকা জামানত দিতে হয়েছে মেয়র প্রার্থীদের।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব সামসুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, জামানতের এ টাকা সরকারি কোষাগারে চলে যাবে। যারা এক-অষ্টমাংশের (৮ ভাগের ১ ভাগ) বেশি ভোট পেয়েছেন, তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে জামানতের অর্থ ফেরত পাবেন। ইতোমধ্যে অধিকাংশ প্রার্থীই জামানত তুলেছেন বলেও জানান তিনি।

দলীয় প্রতীকে স্থানীয় এ নির্বাচনে ২৩৪টি পৌরসভার মধ্যে ২২৭টির ফল ঘোষণা করা হয়েছে। মেয়র পদে ১৭৭টিতে আওয়ামী লীগ  ও ২২ টিতে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বাকি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কেবল জাতীয় পার্টির একজন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। আর বাকি ২৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জনই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ২০ দলের সাড়ে ৬ শতাধিক প্রার্থী অংশ নিলেও প্রধান দুই দলের বাইরে বাকি প্রায় সবারই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী ২৮৫ জন অংশ নিলেও জিতেছেন মাত্র ২৬ জন।

ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিএনপির ৩৫ জন মেয়রপ্রার্থী ন্যূনতম ভোট না পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়াই করে ১ হাজারের কম ভোট পেয়েছেন অন্তত ২৯ জন প্রার্থী। দলটির ৩ প্রার্থীর ভোট সংখ্যা একশরও কম। একটি পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী সর্বনিম্ন ৮৪ ভোট পেয়েছেন। ১ হাজারের চেয়ে বেশি এবং ২ হাজারের কম ভোট পেয়েছেন এমন পৌরসভার সংখ্যা ১৮টি।

সিরাজগঞ্জের কাজীপুর পৌরসভায় বিএনপির মাসুদ রায়হান ৮৪ ভোট পেয়েছেন। তার বিপরীতে আওয়ামী লীগের মো. নিজাম উদ্দীন ৭ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া বিএনপি প্রার্থীর জামানত হারানো ৩৫টি পৌরসভার মধ্যে ৩৪টিতে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। একটিতে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী)।

নড়াইলের কালিয়া পৌরসভায় বিএনপির স ম ওয়াহিদুজ্জামান মিলু ধানের শীষ প্রতীকে ২৬১ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফকির মুশফিকুর রহমান ৩ হাজার ৮১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

যেসব পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে সেগুলো হলো- পাবনা (৭৬ ভোট), ভোলা (১৭২৭ ভোট), দৌলতখান (৬৭৯ ভোট), বোরহানউদ্দিন (৬৪৩ ভোট), গৌরনদী (৭৭৬ ভোট), বানারীপাড়া (৪৪৩ ভোট), মুলাদী (৫৯৬ ভোট), মেহেন্দিগঞ্জ (১৪৮৬ ভোট), বাকেরগঞ্জ (১৭৭ ভোট), কুয়াকাটা (৩১৪ ভোট), নলছিটি (৬২৬ ভোট), মিরসরাই (৪৭৫ ভোট), সন্দ্বীপ (৪৬৪ ভোট), বারইয়ারহাট (২৩৮ ভোট), চৌদ্দগ্রাম (৩১২ ভোট), মহেশপুর (৫৬১ ভোট), দেওয়ানগঞ্জ (৫৮৫ ভোট), ভেড়ামারা (৭২৮ ভোট), রায়পুর (৬৯০ ভোট), রামগতি (৯১৬ ভোট), গফরগাঁও (৫৮৯ ভোট), হাতিয়া (৩৭৬ ভোট), কেশরহাট ৯৯ ভোট, বদরগঞ্জ (৫৫৪ ভোট), গোয়ালন্দ (২২০ ভোট), মাদারীপুর (৩৩৬ ভোট), জাজিরা (২০৮ ভোট), করিমগঞ্জ (৪৬৩ ভোট), রাউজান (২১২০ ভোট), সাতকানিয়া (২২৮৯ ভোট), চান্দিনা (২৩৫৭ ভোট), কচুয়া (১৪৭৫ ভোট) এবং ঈশ্বরগঞ্জ (১৪৮২ ভোট)।

অন্যদিকে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের জামানত হারানো দুই প্রার্থী হলেন- নন্দীগ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম পিংকু (৬৯০ ভোট) এবং চাটমোহরের সাখাওয়াত হোসেন (৭৫৬ ভোট)।

এইচএস/আরএস/পিআর