ইউক্রেনে হামলার শিকার বাংলাদেশের জাহাজ, এক ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু
ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশের জাহাজ ‘এম ভি বাংলার সমৃদ্ধি’ হামলার শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ সময় বুধবার (২ মার্চ) দিনগত রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জাহাজে থাকা কয়েকজন নাবিক নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় জাহাজের এক ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু হয়েছে।
হামলার বিষয়ে জানতে বুধবার দিনগত রাতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন মো. মুজিবুর রহমানকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট সাজিদ হুসাইন এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সময় বুধবার দিনগত রাত ৯ টা ২৫ মিনিটে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে রকেট হামলার ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নাবিকরা মিলে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। এতে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান মৃত্যুবরণ করেছেন।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মহাব্যবস্থাপক (শিপ পার্সোনেল) ক্যাপ্টেন আমীর মো. আবু সুফিয়ান বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে জাগো নিউজকে বলেন, একজন মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি। এছাড়া হতাহতের বিষয়ে আমরা খোঁজ নিচ্ছি।
এর আগে বুধবার দুপুরে জাহাজটির বিষয়ে খবর নেওয়া হলে শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মহাব্যবস্থাপক জাগো নিউজকে বলেছিলেন, এখনো কোনো দুর্ঘটনা হয়নি। ওই বন্দরে শুধু আমাদের এটি না, আরও বেশ কয়েকটি জাহাজ আটকা আছে। আমাদের জাহাজে থাকা নাবিকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে। তাদের পর্যাপ্ত খাবার মজুত আছে।
বিএসসি সূত্রে জানা গেছে, যুদ্ধ শুরুর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি এম ভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছে। ওই বন্দর থেকে পণ্য আনার কথা থাকলেও যুদ্ধের কারণে সেটি আটকে যায়। এরপর থেকে ২৯ জন নাবিক নিয়ে জাহাজটি ওই বন্দরে অবস্থান করছেন। চীনে তৈরি ‘এম ভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজ ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিএসসির বহরে যুক্ত হয়।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। টানা কয়েকদিন ধরেই দুপক্ষের মধ্যে চলছে লড়াই। এরই মধ্যে বেলারুশে শান্তি সংলাপে বসেছিল রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল। তাদের আলোচনা শেষ হয়েছে। তবে কোনো সমাধান না আসায় দ্বিতীয় দফা বৈঠকে সম্মত হয়েছে দুপক্ষই।
মিজানুর রহমান/এমএইচআর