ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

জয়দেবপুর-এলেঙ্গা চারলেনে সাশ্রয় ৪৬ কোটি টাকা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৫১ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২

সাধারণত প্রকল্প কাজের সময় ও ব্যয় বাড়নো হয়। তবে এবার ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে। একটি প্রকল্প থেকে ৪৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা সাশ্রয় হয়েছে।

প্রকল্পটির নাম সাসেক (সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন) সড়ক সংযোগ প্রকল্প: জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ।

এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। সর্বশেষ প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৬ হাজার ২১৪ কোটি ৪১ লাখ ২২ হাজার টাকা। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১৬৮ কোটি ৪৬ লাখ ৯ হাজার টাকা।

এ প্রকল্পসহ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রায় ৮ হাজার ৮০৪ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৮ হাজার ৫১৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ১৬৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১২০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরেন।

চলমান ওই প্রকল্পটি মেয়াদে শেষ হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে।

প্রকল্প এলাকা: গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর, কালিয়াকৈর, টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর, দেলদুয়ার, বাসাইল, টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতি উপজেলা ও ঢাকা জেলার তেজগাঁও থানা এলাকা।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য: জাতীয় মহাসড়কের (এন-৪) জয়দেবপুর হতে এলেঙ্গা পর্যন্ত বিদ্যমান ৭০ কিলোমিটার সড়ককে দুই লেন হতে চার লেনে উন্নীতকরণ ও উভয় পাশে স্লো মুভিং ভেহিক্যুলার ট্রাফিক (এসএমভিটি) লেন নির্মাণ। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় আধুনিকায়ন ও হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্ট (এইচডিএম) সার্কেলের জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও সড়ক এবং জনপথ অধিদপ্তরের প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের জন্য পরামর্শক সেবা ক্রয়।

প্রধান কার্যক্রমসমূহ: ৭০ কিলোমিটার পেভমেন্ট নির্মাণ (দুই লেন থেকে ছয় লেনে উন্নীতকরণ), ১১টি আন্ডারপাস নির্মাণ, দুই হাজার ৮০৯ মিটার সেতু নির্মাণ, ৬৮ দশমিক ৮৪ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ, পাঁচ হাজার ১৬৫ দশমিক ৩৯ মিটার ফ্লাইওভার/ওভার পাস নির্মাণ। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় ৫৯ লাখ ৭৯ হাজার ৫৯০ লাখ ঘনমিটার মাটির কাজ, ৪২৭ দশমিক ২৪ মিটার আরসিসি কালভার্ট নির্মাণ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় নির্মাণ।

প্রকল্প সংশোধনের কারণ: স্পেশাল ড্রইং রাইটসের (এসডিআর) বিপরীতে ডলারের মূল্যমান পরিবর্তন হওয়ায় ও চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ কাজের জন্য প্রতিশ্রুত পরিমাণ বৈদেশিক ঋণ না পাওয়ায় ফাইন্যান্সিং গ্যাপ পূরণের জন্য সরকারি খাত সমন্বয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন পরামর্শক সেবার পরিমাণ ও ব্যয় বাড়ানো, প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্ট, ভ্যাট, আইটি, সিডি খাতে ব্যয় বৃদ্ধি (ঘ) বৈদ্যুতিক লাইট স্থাপন অঙ্গ নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তি, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় নির্মাণ, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন, আরএইচডি ইক্যুইপমেন্ট, ইউটিলিটি শিফটিং, ফিজিক্যাল কনটিনজেন্সি, বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও রাজস্ব খাতের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যয় হ্রাস ও প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো।

অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের লক্ষ্যমাত্রার অন্যতম হলো ৫৫০ কিলোমিটার ৪/৬/৮ লেনের সড়ক নির্মাণ এবং ১১০০০ মিটার ফ্লাইওভার/ওভার পাস নির্মাণ। প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় মোট ৭০ কিলোমিটার সড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণ এবং ৫১৬৫ দশমিক ৩৯ মিটার ফ্লাইওভার/ওভারপাস নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা উপর্যুক্ত লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।

পরিকল্পনা কমিশনের মতামত: প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়কটি উভয় পার্শ্বে লেনসহ ছয় লেনে উন্নীত করা হবে। ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলের সাথে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ ভবিষ্যতে বাংলাবান্ধা দিয়ে ভারত ও নেপাল এবং বুড়িমারী দিয়ে ভারত ও ভুটানের সঙ্গে উপ-আঞ্চলিক সড়ক সংযোগ সহজতর হবে। প্রকল্পের মেয়াদ ছয় মাস বাড়লেও সাশ্রয় হচ্ছে ৪৬ কোটি টাকা। যা সওজ-এর অন্য প্রকল্পে সাশ্রয় হওয়া অর্থ ব্যয় করা হবে।

এমওস/আরএডি/এমআরএম/জিকেএস