‘ক্ষমতাবানরা সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল করছেন’
ক্ষমতাবানরা বিভিন্নভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি আর সম্পত্তি দখল করছেন বলে অভিযোগ করেছেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম ও সমর্থকদের দ্বারা ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি দখল ও হামলার বিষয়ে তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের জমি দখলের বিষয়ে বেশিরভাগ জায়গায় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তারা যাতে সতর্ক হন এই আহ্বান জানান সুলতানা কামাল।
সুলতানা কামাল বলেন, সবলের অত্যাচারের কারণে দুর্বলরা ভাবছেন তারা দেশে থাকবেন না, এটা তো আমরা কোনোভাবে মেনে নিতে পারি না। অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের হামলা যেন ‘স্বাভাবিক’ ঘটনায় পরিণত হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, “এটাতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে আশা দেখানো সরকারের সময়ে এটা কোনোভাবে প্রত্যাশিত নয়। সংখ্যালঘুদের জমি দখলের যে অবস্থা সারাদেশে চলছে তার বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাজল দেবনাথ বলেন, “ঠাকুরগাও-ফরিদপুর ছাড়া গত কয়েকদিন আগেই দিনাজপুরের পার্বতীপুরে একজন মন্ত্রীর দ্বারা জমি দখল ও হামলার ঘটনা ঘটেছে।”
সংবাদ সম্মেলনে ছোট ভাই ভাকারাম সিংয়ের উপর সংসদ সদস্য দবিরের ছেলে মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে হামলার বর্ণনা দেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী থেকে আসা ভুক্তভোগী জিতেন চন্দ্র সিং।
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর ঘটনায় তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনের সারাংশ উপস্থাপন করেন অর্পিত সম্পত্তি আইন প্রতিরোধ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলার পাঁচ মাস পর গত ২৪ ও ২৫ নভেম্বর বালিয়াডাঙ্গীতে যায় ওই তথ্যানুসন্ধান দল। এই দলে অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল ও সুব্রত চৌধুরীর সঙ্গে আরও ছিলেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট তবারক হোসেইন, এএলআরডি নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ব্লাস্ট-এর অনারারী নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন এবং দিনাজপুরের সিডিএ নামক সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক শাহ ই মবিন জিননাহ।
এএস/এসকেডি/এমএস