ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

শিক্ষা আইন চূড়ান্ত করতে বিকেলে বৈঠক

প্রকাশিত: ০৫:০৭ এএম, ০৭ জানুয়ারি ২০১৬

শিক্ষা আইন চূড়ান্ত করতে আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারণী সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় আইনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আইন প্রণয়নে সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন।

সূত্র আরা জানায়, ২৫ পৃষ্ঠার এ আইনের খসড়ায় সর্বমোট ৬৯টি মূলধারাসহ বেশকিছু উপধারা রয়েছে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, শিক্ষক নিয়োগ, পাঠ্যবই, শিক্ষক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি এসব বিধান লংঘনের দায়ে অর্থদণ্ড, কারাদণ্ড এমনকি উভয় দণ্ডের বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে অনেক ইতিবাচক দিক থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বড় অপরাধে লঘুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

এছাড়া খসড়ায় কোচিং বাণিজ্য ও প্রাইভেট টিউশনি বন্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের কোনো প্রস্তাবনা নেই। প্রশ্ন ফাঁসের ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ শাস্তি চার বছর কারাদণ্ডের বিধান নিয়ে সমালোচনা হলেও খসড়ায় সেটাই বহাল আছে।

শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইন জানান, আজকের (বৃহস্পতিবার) সভায় শিক্ষা আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত হলে প্রক্রিয়া অনুসারে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাঠানো হবে। এক মাসের মধ্যে এটা সম্ভব হবে বলেও আশা  প্রকাশ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-কে ভিত্তি ধরে এই শিক্ষা আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। ২০১৩ সালে শিক্ষা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তখন শিক্ষকদের বিভিন্ন ধরনের অপরাধের জন্য সুনির্দিষ্ট শাস্তির বিধান ছিল। এ নিয়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষক সমিতি আন্দোলন শুরু করলে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পিছু হটে।

এনএম/আরএস/পিআর