‘পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সবুজ কর আরোপ ও প্রণোদনা বিবেচনাধীন’
পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে আইনের কঠোর প্রয়োগের চিন্তা করছে সরকার। একই সঙ্গে পরিবেশবান্ধব যন্ত্রপাতি ও সম্পদ আহরণের জন্য বিনিয়োগে কর ছাড় এবং সবুজ সেবা প্রদানকারীদের আয়কর মওকুফের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এ কথা জানান। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান শুটিং ক্লাবে ‘গ্রিন ইনক্লুসিভ বিজনেস চ্যাম্পিয়ন্স’ শীর্ষক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, দূষণ নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে সবুজ কর আরোপ করার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। সবুজ কর প্রণোদনা এবং সবুজ কর আরোপের ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে- পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো; সবুজ প্রযুক্তি সমৃদ্ধ সম্পদ সংগ্রহে শিল্প-প্রতিষ্ঠান সমূহকে উৎসাহ প্রদান; সবুজ প্রযুক্তি সেবা প্রদানকারীদের প্রসার এবং দূষণ সৃষ্টিকারী কার্যক্রম নিরুৎসাহিতকরণ।
তিনি আরও বলেন, শিল্প-কারখানায় দূষণ নিয়ন্ত্রণ, ক্লিন ও গ্রিন টেকনোলজির ব্যবহার উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে ২০০ কোটি টাকার একটি ফান্ড গঠন করে সরকার। পুনঃঅর্থায়নের মাধ্যমে পরিচালিত সবুজ প্রকল্পগুলোতে অর্ধশতাধিক সবুজ পণ্যের বিনিয়োগের উদ্যোগ কার্যকর করেছে। পরিবেশ অধিদপ্তর একটি বিশেষ ফান্ড গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে, যার ব্যবহারের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা পরিবেশবান্ধব কারখানা স্থাপন ও ব্যবসায় উৎসাহিত হবে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের সুনির্দিষ্ট পলিসি গ্রহণের কথা উল্লেখ করে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে সোলার প্যানেল এবং হাইব্রিড গাড়ির ওপর সম্পূরক শুল্ক হ্রাস করেছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে দূষণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান, প্রকল্প সমূহকে কমপ্লায়েন্সের আওতায় এনে পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া পরিবেশ ও প্রতিবেশগত ক্ষতিসাধনের জন্য দূষণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা প্রকল্প হতে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়ে থাকে। ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধনের জন্য প্রায় ১৯০ কোটি টাকা আদায় করা হয়।
গ্রিনটেক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর এ কে এম সাইফুল মজিদের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিভিএফ প্রেসিডেন্সি অব বাংলাদেশের স্পেশাল এনভয় আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফারাহ মো. নাছের প্রমুখ।
এমইউ/জেডএইচ/