ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

দিনে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবে প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটি

প্রকাশিত: ০৪:৩৬ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০১৬

প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, চিকিৎসক, ২৬টি ক্যাডার ও বিভিন্ন ফাংশনাল সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সংগঠন প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটি সপ্তাহব্যাপি প্রতিদিন দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবে। ১১ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হবে।

একইসঙ্গে এ সময়ে কালো ব্যাজও ধারণ করা হবে। জাতীয় বেতনস্কেলের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে সৃষ্ট বৈষম্য এবং বিদ্যমান অন্যান্য বৈষম্য নিরসনের দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

রোববার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটির স্টিয়ারিং কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কমিটির আহ্বায়ক আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভায় জাতীয় বেতনস্কেল ২০১৫-তে প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরিতে যোগদানের ক্ষেত্রে ক্যাডার কর্মকর্তাদের অষ্টম গ্রেড ও ননক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য নবম গ্রেড নির্ধারণ করায় আবারো তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। সভায় উদ্বেগ জানানো হয় যে, এ ব্যবস্থা গোটা জাতির জন্য ভয়ানক বিপর্যয় ডেকে আনবে। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, সড়ক অবকাঠামো নির্মাণসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে সাধারণত মেধাবীরাই যোগদান করে থাকেন, যারা ননক্যাডার কর্মকর্তা। মেধা ও যোগ্যতার মাপকাঠিতে কোনোভাবেইে ননক্যাডার কর্মকর্তাগণ নিম্নমানের নয়।

সভায় আরো আলোচনা হয় যে, সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বন্ধ করায় কর্মকর্তাদের মধ্যে মর্যাদাগত ও আর্থিকভাবে চরম বৈষম্য সৃষ্টি হবে। সকল ক্যাডার ও সার্ভিসে পদোন্নতির সুষম ব্যবস্থা না থাকায় সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল চালু করা হয়েছিল।

পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি না করে তা বাতিল করার কোনো যুক্তি নেই। এদিকে সরকারের বিশেষ পদ হিসেবে চিহ্নিত উপসচিব থেকে সিনিয়র সচিব পর্যন্ত পদগুলোতে সুপারনিউমারারি পদ সৃজন করে অনুমোদিত পদের চেয়ে অধিক সংখ্যক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে। এতে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা লাভবান হচ্ছেন। অথচ সুপারনিউমারারি পদ সৃজনের মাধ্যমেও সকল ক্যাডার ও সার্ভিসে পদোন্নতির সুষম সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব।

সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় যে, জারিকৃত বেতনস্কেলের মাধ্যমে শিক্ষা ক্যাডারে পদ অবনমন হয়েছে। আগে এ ক্যাডারের কর্মকর্তারা সিলেকশন গ্রেড হিসেবে চতুর্থ গ্রেড থেকে ৩য় গ্রেডে উন্নীত হতেন। জারিকৃত বেতনস্কেলে সিলেকশন গ্রেড বন্ধ করে দেয়ায় তাদেরকে ৪র্থ গ্রেড থেকে অবসরে যেতে হবে। তাই সভা থেকে সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল পুনর্বহাল এবং সকল ক্যাডার ও সার্ভিসে সুপারনিউমারারি পদ সৃজনের আবারো দাবি জানানো হয়।

সভায় বেতনস্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল পুনর্বহাল, সরকারি প্রথম শ্রেণির চাকরিতে যোগদানের ক্ষেত্রে ক্যাডার ননক্যাডার বৈষম্যের সিদ্ধান্ত বাতিল, ইউএনওকে কর্তৃত্ব প্রদানমূলক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অফিস স্মারক বাতিল, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, সকল ক্যাডার ও সার্ভিসে পদোন্নতির সমান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সুপারিরিউমারারি পদ সৃজন, নিজস্ব ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিস বহির্ভূত সকল ধরনের প্রেষণ বাতিল এবং কৃত্য পেশাভিত্তিক প্রশাসন গড়ে তোলার জোর দাবি জানানো হয়।

সভায় স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য কবির আহমেদ ভূঁইয়া, সদস্যসচিব মো. ফিরোজ খান, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য মো. মোবারক আলী, সবুর আহমেদ, স. ম. গোলাম কিবরিয়া, আই কে সেলিমুল্লাহ খন্দকার ছাড়াও কৃষি ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাসাদ্দেক হোসেন, মহাসচিব খায়রুল আলম প্রিন্স, স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আ ম সেলিম রেজা, মৎস্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. মজিবুর রহমানসহ বিভিন্ন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসএ/বিএ