মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম বন্দরের অবদান ছিল : নৌমন্ত্রী
নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম বন্দর বড় ধরণের অবদান রেখেছিল। এই বন্দর থেকেই পাকিস্তানি অস্ত্রবাহী জাহাজ বাংলাদেশে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়েছিল।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং রেকর্ডের সফলতায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
নৌমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৪ শে মার্চ পাকিস্তানের অস্ত্রভর্তি জাহাজ সোয়াত চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে। সেখানে বন্দরের শ্রমিকেরা তাদের প্রবেশে বাধা দেয়। এতে প্রাণ হারায় প্রায় দুই-শতাধিক বন্দর শ্রমিক। তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
এদিকে, ২০১৫ সালে ২০ লাখ ২৪ হাজার কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের রেকর্ড করেছে দেশের সবচেয়ে বড় চট্টগ্রাম বন্দর। এবছর প্রায় ১৭% কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং গ্রোথ করেছে বন্দরটি।
এবিষয়ে শাহজাহান খান বলেন, ‘বিএনপি জামায়াতের লাগাতার অবরোধ সত্ত্বেও চট্টগ্রাম বন্দর রেকর্ড করেছে। এর মাধ্যমে বন্দরের অংশীদাররা তাদের সক্ষমতা প্রমাণ করেছেন। এজন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর এক বছর আগেই কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের লক্ষ্যে পৌঁছেছে। বন্দরের এমন সাফল্যে ২০২১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রাম বন্দরকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সহযোগিতার জন্য সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, কাস্টমস ও কোস্টগার্ডকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য এম আব্দুল লতিফ এমপি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ (ট্যাজ)।
এআর/এসকেডি/এমএস