লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ঢাকায় আনা একজন মারা গেছেন
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত দগ্ধ ২০ জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে হাবিব খান (৪৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাবিব খান বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। নিহতের বেয়াই মোশারফ হোসেন বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঢাকায় ছেলে শাহিন খানের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন হাবিব খান। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) নিজ বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। এসময় তার স্ত্রী মোছা. শাহারা বেগম (৩৫) সঙ্গে ছিলেন।
মোশারফ আরও বলেন, তিন-চার মাস আগে হাবিব খানের লিভারে অপারেশন করা হয়েছিল। এ দুর্ঘটনায় লিভার থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনকে বার্নে আনা হয়। তাদের মধ্যে একজন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। আর একজন মারা যাওয়ার ফলে হাসপাতালে এখন ১৮ জন চিকিৎসাধীন।
এদিকে, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধদের দেখতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে যান নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। শুক্রবার রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।
তার আগে সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে যাদের আনা হয়েছে তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়াও অগ্নিদগ্ধ আরও ৭৬ জন বরিশালে আছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলেও জানান মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ শুরু করে। এখন পর্যন্ত লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে মারা গেছেন ৪০ জন।
আরএসএম/এমআরআর