ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

রামপুরায় সড়ক অবরোধ বিক্ষুব্ধ জনতার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:৪৪ এএম, ৩০ নভেম্বর ২০২১

রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করেছেন। এ সময় অন্তত আটটি বাসে ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছেন তারা। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও সড়কে অবস্থান করছেন বিক্ষুব্ধরা।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাত ১১টার পরে রামপুরা বাজারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে বাসে আগুন দেন বিক্ষুব্ধরা।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম মাঈনুদ্দিন। সে রামপুরা একরামুনেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। রামপুরার তিতাস রোডে ভাড়া বাসায় থেকে চায়ের দোকান চালান মাঈনুদ্দিনের বাবা।

স্থানীয়রা জানান, অনাবিল বাসের চাপায় ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ভাঙচুর করা ও আগুন দেওয়া বাসের বেশিরভাই অনাবিল পরিবহনের। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগন দিচ্ছেন। ঘাতক চালককের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা ও বিভিন্ন দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।

ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসে ১২টি গাড়ি বিধ্বস্ত অবস্থায় পেয়েছি। এর মধ্যে চারটি গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে ও বাকি আটটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে ঘটনাস্থলে আমাদের তিনটি ইউনিট কাজ করে আটটি গাড়িতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং নির্বাপণ করে। আগুনে বাসগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

ডিসি মতিঝিল আহাদ বলেন, গাড়ি ও গাড়ি চালককে আটক করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরে পুলিশ এই গাড়ি ও চালককে আটক করেছে।

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, সোমবার রাত ১১টার পর রামপুরা বাজারের কাছে বাসচাপায় একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা সড়ক অবরোধ করে বাসে আগুন দিয়েছে। ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। 

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের অপারেটর জিয়াউর রহমান বলেন, বাসচাপায় ছাত্র নিহতের এ ঘটনায় অন্তত সাতটি বাসে আগুন দেওয়ার খবর পাই। এ ঘটনায় ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের প্রথমে দুটি ও পরে আরও একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

টিটি/এনএইচ/কেএসআর