খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে আইনমন্ত্রীকে আইনজীবীদের স্মারকলিপি
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিএনপির ১৫ জন আইনজীবী আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এ স্মারকলিপি দেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ৪০১ ধারা আলোচনায় আমি এখন যেতে চাই না। আমাদের স্বাভাবিক আইনে মতপার্থক্য থাকবে। আমারও আপনাদের সঙ্গে আইনে মতপার্থক্য আছে। আপনারা যে ৪০১ ধারা-উপধারার কথা বলেছেন, সেখানে আপনারা বলেছেন কোথাও বিদেশ যাওয়া যাবে না কথাটি বলা নেই। সেখানে বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে বলা না থাকলেও একটা কথা বলা আছে, সেটা হলো শর্তযুক্ত বা শর্তমুক্ত। সেখানে দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। আমি সেই আইনের দিকে যাবো না।
তিনি বলেন, আপনারা যে স্মারকলিপি দিয়েছেন সেটা আমি অবশ্যই পর্যালোচনা করবো। তবে সিদ্ধান্ত ও মতামতের ব্যাপারে আলোচনার প্রয়োজন আছে। সেটা আমরা করবো।
‘আমি একটা কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যখন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হয় তখন কিন্তু ওনার পরিবারের যে আবেদন সেটা মানবিক দিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখেছেন। তখন কিন্তু কোনো দাবি তুলতে হয়নি, প্রধানমন্ত্রী নিজেই করেছেন। সেক্ষেত্রে মানবিকতার কমতি আমাদের নেই। আমরা মানবিকতা দেখাতে জানি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মানবিকতা দেখাতে জানেন।’
আনিসুল হক বলেন, ‘আমি আজ স্মারকলিপি নিলাম। কিন্তু আজ যদি প্রিম্যাচিউর্ড কিছু বলি সেটা সঠিক হবে না। আমাকে একটু সময় দিতে হবে। আমি এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করবো। কেউ জানে বেঁচে থাকুক বা জানে বেঁচে না থাকুক সেটা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। বেগম জিয়ার চিকিৎসা হচ্ছে সেটা সবাই জানেন। তাই আমি এটা নিয়ে একটু আলাপ-আলোচনা করি, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরে তারপর...।’
আইনমন্ত্রী বলেন, এটার ফাইল আমার হাতে, আপনারা আসবেন বলে আমি ফাইলটি ডিসপোজ করিনি। নিশ্চয়ই আমরা এই দিকটা দেখবো। আমি আলাপ-আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে যতটুকু সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় আমরা সেভাবেই সিদ্ধান্ত নেবো।
এ সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে মো. ফজলুর রহমান, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, নীতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আজম খান, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, তৈমুর আলম খন্দকার, মো. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল), আবেদ রাজা, মো. আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মোহাম্মদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/ইএ/এমএস