ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

প্রযুক্তিতে যেন গা ভাসিয়ে না দেই : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৩:৩২ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েদের নৈতিক শিক্ষায় ও দেশ প্রেমে উদ্ধুদ্ব করতে হবে। তাদের হাতে সে ধরণের প্রযুক্তি তুলে দিতে হবে। প্রযুক্তিতে যেন আমরা গা ভাসিয়ে না দেই। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের এফএসআইবিএল ফার্স্ট পে শিওরক্যাশ অ্যাডুকেশন পেমেন্ট সার্ভিসের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের শক্তি নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা। তাদেরকে আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে শিক্ষকদের দায়িত্ব নিতে হবে। তাহলেই দেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।  

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার করে আমরা দ্রুত এগিয়ে যেত চাই। উন্নত দেশগুলোকে স্পর্শ করতে চাই। আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। আগে কম্পিউটার কি তাই শিক্ষার্থীরা জানতো না। এখন বাংলাদেশে এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠনে নেই যেখানে কম্পিউটার নেই আমরা ক্ষমতা গ্রহণের পরে ১৭টা মাইক্রোবাস কিনে কম্পিউর ল্যাব করে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘুরিয়ে দেখিয়েছি। ২৩ হাজার ৩১ স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চালু করেছি। শিক্ষদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কন্টেন্ট চালু করেছি। এ ক্ষেত্রে আমরা উন্নত দেশের চেয়ে এগিয়ে আছি। আমাদের শিক্ষকরা এসব করছে। আমদের ছেলেমেয়েরা এটা দেখে উৎসাহিত হবে।

ঢাকা কলেজের ভূয়সি প্রশংসা করে শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেন, দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কলেজ বলতে ঢাকা কলেজকেই বুঝায়। এ বছর ৫৫৫ জন উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্য দিয়েই বোঝা যায় কলেজের শ্রেষ্ঠত্ব। এই ঐতিহ্য প্রযুক্তিসহ সকল ক্ষেত্রে ঢাকা কলেজকে ধরে রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার করে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই । তেমনি মানুষের মাঝে এ সেবা পৌঁছি দিতে চাই। শিওর ক্যাশের এ সুবিধার মাধ্যমে এখন টাঙ্গাইলে বসেও শিক্ষার্থীরা বেতন দিতে পারবে। প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন সব সেবা আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে।  অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্যেও এ সেবা চালু করতে হবে।

ঢাকা কলেজের অধক্ষ্য অধ্যাপক তুহিন আফরোজা আলম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, এ সেবার মাধ্যমে ঢাকা কলেজ একটি পুর্ণাঙ্গ ডিজিটাল প্লাটফর্ম চালু করলো। কলেজে এখন আর হাতে লেখা বড় বড় লেজার খাতা দেখা যাবে না। অনলাইনে ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে সব ধরণের হিসাব রাখা হবে। যার ফলে শিক্ষকদের ঝামেলা কমবে ও দক্ষতা বাড়বে। একই সঙ্গে ছাত্রদের সময় ও প্রয়োজনীয় ভাড়া বাঁচবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেফ মো. আলী, শিওরক্যাশের প্রধান নির্বাহী ড. শাহাদাত খান, কলেজের উপাধক্ষ্য মোয়াজ্জেম হোসেন মোল্লা।

এনএম/এএইচ/আরআইপি

আরও পড়ুন