ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন দেখলো বাংলাদেশ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৪:৪৪ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২১

অবশেষে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারিতে মৃত্যুশূন্য দিন দেখেছে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে কারও মৃত্যু হয়নি। গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে করোনায় প্রথম প্রাণহানির পর ফাঁকে কয়েকদিন দেশ মৃত্যুহীন ছিল। কিন্তু ওই বছরের ৪ এপ্রিল দুজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যে শোকের মিছিল শুরু হয়, তা আর থামেনি। শেষ পর্যন্ত এক বছর সাত মাস ১৬ দিন পর এমন সুখবর পেলো বাংলাদেশ।

শনিবার (২০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (কোভিড ইউনিট) ডা. মো. ইউনুসের সই করা করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৮৯১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৫ হাজার ১০৭টি নমুনা। এতে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৭৮ জন। ফলে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৯। এর মধ্যে মারা গেছেন মোট ২৭ হাজার ৯৪৬ জন। মোট মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৭ হাজার ৮৮৭ জন ও নারী ১০ হাজার ৫৯ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯০ জন রোগী। ফলে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা বেড়ে হলো ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ছয়জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ১৮ শতাংশ। এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি সাত লাখ ছয় হাজার ৬৬২ জনের। করোনা শনাক্তের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নতুন রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। 

বিশ্বে অর্ধকোটিরও বেশি প্রাণ কেড়ে নেওয়া করোনাভাইরাস বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। আর দেশে এ ভাইরাসে প্রথম মৃত্যু ঘটে ওই বছরের ১৮ মার্চ। এরপর ফাঁকে ফাঁকে মার্চের কয়েকদিন দেশ মৃত্যুহীন থাকলেও এপ্রিল থেকে এমন কোনো দিন যায়নি, যেদিন করোনা কারও প্রাণ কাড়েনি। এমনকি ওই বছরের জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুর বড় ধাক্কা দেখা যায়।

তবে করোনার বড় ঢেউ দেখা যায় এ বছরের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত। বিশেষ করে জুনের শেষ থেকে আগস্টের শেষ পর্যন্ত প্রতিদিন শতাধিক মৃত্যুও হয়েছে। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট সর্বোচ্চ ২৬৪ জনেরও মৃত্যু হয়েছে।

অক্টোবর থেকে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। সবশেষ গত শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) মৃত্যু হয়েছে সাতজনের।

এমইউ/এইচএ/জেডএইচ/জেআইএম