ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

আবারো প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

প্রকাশিত: ০৯:০৩ এএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫

অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে আবারো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এমনকি বেতন কাঠামো সংক্রান্ত প্রকাশিত গেজেটে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক তৈরি পরিপত্রটি বাতিল এবং একটি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে পরিপত্রটি তৈরির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনারও দাবি জানিয়েছেন তারা।

একই সঙ্গে শিক্ষকদের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ করায় অর্থমন্ত্রীর স্বেচ্ছায় পদত্যাগ নতুবা দেশের মঙ্গলে সরকার প্রধান কর্তৃক অর্থমন্ত্রীকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ারও আহ্বান করেন শিক্ষকরা। রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাব ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতারা।

ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেডাশেনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

তিনি বলেন, বর্তমান অবস্থায় অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো বাস্তবায়িত হলে সপ্তম জাতীয় বেতন কাঠামোর তুলনায় গ্রেড-১ প্রাপ্ত শিক্ষকদের সংখ্যা অর্ধেক কিংবা তারও নিচে নেমে আসবে। গ্রেড-১ প্রাপ্ত শিক্ষকদের থেকে সুপারগ্রেডের ২য় ধাপে যাওয়ার কোনোও সুযোগ ও নির্দেশনা এই গেজেটে কিংবা অন্য কোনো পরিপত্রে এ পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয়নি। এমনকি শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে দেয়া সুষ্পষ্ট তিনটি আশ্বাসের দুটিই বরখেলাপ করেছেন অর্থমন্ত্রী।

এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য জাতীয় বেতন কাঠামো সংক্রান্ত প্রকাশিত গেজেট এবং অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব কর্তৃক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত একটি পরিপত্রে অত্যন্ত চাতুর্যের সঙ্গে অর্থমন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা হয়েছে। যা ১ জানুয়ারি বেতন-বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির গৃহীত সুপারিশ নয়। যা বিদ্যমান আইনের দৃষ্টিতে গুরুতর অপরাধ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অর্থমন্ত্রী ক্রমাগতভাবে শিক্ষকসহ অন্যান্য পেশাজীবীদের উপর আক্রামণ করে অপমানসূচক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। তাই গত ২৪ ডিসেম্বরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ সংবাদ সম্মেলন করা হচ্ছে দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমনকি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে কর্মবিরতি।

তাই আমরা অর্থমন্ত্রীকে শিক্ষকদের আক্রমণ করে বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাই। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান স্থিতিশীলতাকে বিনষ্ট করতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক তৈরি পরিপত্রটি বাতিল এবং একটি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে পরিপত্রটি তৈরির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানায়। চলতি মাসের মধ্যে অর্থমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবি

জানাই এবং বঙ্গবন্ধুর সৃষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩ এ কোন রকম হস্তক্ষেপ না করার অনুরোধ জানায়। সর্বপোরি আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা অর্থমন্ত্রী কর্তৃক প্রতারিত হয়েছি। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে এখন আমরা কঠোর আন্দোলন ছাড়া আর কোন উপায় দেখি না। একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে দেশের শিক্ষাঙ্গনকে ধ্বংস করার প্রয়াসে মেতেছে বলেও দাবি করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, আগামী ২ জানুয়ারি সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাধারণ সভা শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। যেখানে ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্জনসহ লাগাতার কর্মবিরতিতে যাওয়ারও ঘোষণা আসতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ড. এ জেড এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. সাবিতা রেজওয়ানা, অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী, নীলিমা আক্তার প্রমুখ।

এমএইচ/জেডএইচ/এমএস