ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয় নিয়ন্ত্রণে আইন

প্রকাশিত: ১১:০৪ এএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৫

এমপিওভূক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয় স্বচ্ছভাবে ব্যয় করার লক্ষ্যে আইন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

মঙ্গলবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সচিবালয় রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত এক সংলাপে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

মাদরাসায় জঙ্গি তৈরি হয় কি না সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সব মাদরাসা জঙ্গি তৈরি করে, তা ঢালাওভাবে বলা ঠিক নয়। কিছু লোক ধর্মকে ব্যবহার করে জঙ্গি কার্যক্রম চালায়। তা বন্ধ করতে হবে। ধর্ম ব্যবহার করে যেন কেউ তা করতে না পারে, এ জন্য মাদরাসাগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে।

বর্তমান সরকারের আমলে মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় গতি এসেছে মন্তব্য করে নাহিদ বলেন, বিগত জোট সরকার একটা মাদরাসা বিল্ডিং করেনি। আমরা ১৩০০ নতুন বিল্ডিং তৈরি করেছি, আরও ১৮০০ করবো। ৩৫টি মডেল মাদরাসা, ৩১টিতে অনার্স কোর্স চালু করেছি।

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, মাদরাসা আলাদা অধিদফতর করে দিয়েছি। ইসলামিক-আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের পড়া শেষে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার আলোচনা চলছে।
 
নাহিদ বলেন, আধুনিক যুগের বড় শক্তি জ্ঞান ও প্রযুক্তির মধ্যমে আয়ের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তা অর্জন করতে পারবো। সার্বিক ক্ষেত্রে বড় ধরনের বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে হবে, এজন্য সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। এটা প্রচলিত গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থায় সম্ভব নয়, গুণগত মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে।’

নতুন বেতন কাঠামোতে টাইম স্কেল না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গ্রেড-১ এ যাওয়ার পথ বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, টাইম স্কেলের মাধ্যমে তারা উচ্চস্তরে পৌঁছাতে পারতেন। কিভাবে তাদের সুযোগটা দেওয়া যায় তা আলোচনা চলছে, যতোদিন না হয় আগের মতো সুবিধা পাবেন। বিসিএস শিক্ষকদের বিষয়ে আলোচনা চলছে, তারাও সুবিধা পাবেন। এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা যারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছিলেন, তারাও তা পাবেন।
 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তাদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো শিক্ষার গুণগত মান অর্জন করা। গুণগত মান বাড়ছে, কিন্তু যা হওয়ার তা হয়নি।

নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে কি না সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, যাচাই-বাছাই করেই এমপিও দেয়া হবে, বিষয়টিকে উন্নত করার জন্য অনলাইনে যাচ্ছি।

দুই দিনে বই উৎসব আয়োজন সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, এক দিনই উৎসব করা উচিত। উৎসব দু’দিন করা যেতে পারে না। আমি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে একদিনে উৎসবের চেষ্টা করবো।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ইতোমধ্যে মাধ্যমিকের শতভাগ বই পৌঁছে গেছে। প্রাথমিকের ছাপা দেরিতে শুরু হওয়ায় আজ (২২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ৮০ শতাংশ বই চলে গেছে। বাকিগুলোর মধ্যে ৫ শতাংশ রিজার্ভ থাকে। অবশিষ্ট বই সময়মতো পৌঁছে দিতে পারবো, এতে সন্দেহ নেই।

কাগজের মান খারাপের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আগে ১০ শতাংশ জামানত ছিলো, এখন ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। তদন্ত করবো, মান খারাপ হলে সেই অনুযায়ী জরিমানা করা হবে। মানসম্পন্ন না হলে জরিমানা করবো।

সংলাপে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট  রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি শ্যামল সরকার ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান। সংলাপে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা অংশ নেন।

এনএম/এসকেডি/আরআইপি

আরও পড়ুন