ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

মালয়েশিয়ার সারাওয়াক প্রদেশেও কাজের সুযোগ

প্রকাশিত: ১০:০৮ এএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৪

মালেশিয়ার পেনিনসুলার পাশাপাশি এবার সরকারি ভাবে দেশটির অন্য প্রদেশ সারাওয়াকে শ্রমিক পাঠাবে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে অফিসিয়াল পাসপোর্টধারি এবং কূটনীতিক পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই মালেশিয়াতে যেতে পারবেন। মালেশিয়ার সরকারি চাকুরি এবং কূটনীতিকরাও একই ধরনের সুযোগ পাবেন বাংলাদেশের ক্ষেত্রে।

সোমবার মন্ত্রী সভার নিয়মিত বৈঠক মালেশিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরের জন্য এবং চুক্তি নবায়নের জন্য এ সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রী সভার নিয়মিত বৈঠকে এসব অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসেন ভুইঞা সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান।

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের শ্রমিকদের মালেশিয়ায় কর্মসংস্থানের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সংশোধনের প্রটোকল স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশের শ্রমিকেরা মালেশিয়ার সব শহরে কাজ করার সুযোগ পান না। সংশোধিত প্রটোকল সই হলে বাংলাদেশের শ্রমিকেরা সারাওয়াক প্রদেশে কাজ করার সুযোগ পাবেন।

মালেশিয়ার সঙ্গে ভিসা বিষয়ে আরেকটি চুক্তি অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। ওই চুক্তি অনুযায়ি, দুই দেশের সরকারি ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই উভয় দেশে আসা-যাওয়া করতে পারবেন। ৯০ দিন ভিসার মেয়াদ থাকবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে ১২টি দেশের এ ধরনের চুক্তি রয়েছে। আরও ১৮টি দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

বৈঠকে সার্কভুক্ত দেশগুলোর এক দেশের যানবাহন যেন আরেক দেশে যেতে পারে, সে-সংক্রান্ত একটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আসন্ন সার্ক সম্মেলনে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সার্কভুক্ত এক দেশের যানবাহন আরেক দেশে গেলে যোগাযোগ বাড়াবে। এতে এসব দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ ও আর্থ-সামজিক উন্নয়ন হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন বোর্ড আইন-২০১৪-এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হলেও মন্ত্রিসভা এই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। বলেছে, এই বোর্ড সংযুক্ত অধিদপ্তর হিসেবে কাজ করবে।

দুই বিশিষ্ট ব্যক্তির মৃতুতে শোক: সদ্য প্রয়াত শিক্ষাবিদ জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী ও স্মৃতিসৌধের স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেনের মৃত্যুতে মন্ত্রিসভা শোক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।