করোনা পরিস্থিতি স্বস্তিদায়ক: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বর্তমানে দেশের করোনা পরিস্থিতি স্বস্তিদায়ক বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম। একই সঙ্গে এ নিয়ে আত্মতুষ্টির কোনো কারণ নেই বলে সতর্ক করেন তিনি। এ জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
রোববার (৩ অক্টোবর) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল বুলেটিনে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, সংক্রমণ ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান বিবেচনায় করোনার সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক। গত দু-তিন সপ্তাহে অব্যাহতভাবে সংক্রমণ কমছে, যা স্বস্তি ফিরিয়ে আনছে সবার মনে।
তিনি বলেন, গত এক সপ্তাহে সংক্রমণের হার ৪ শতাংশ থেকে কমে ৩ দশমিক ৪১ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। এ স্বস্তিকর অবস্থা ধরে রাখতে হলে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মেনে চলা ও সবার চেষ্টায় সংক্রমণের হার আরও কমানো সম্ভব।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা জানান, গত সাতদিনে সারাদেশে এক লাখ ৭৩ হাজার ৩১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যা বিগত সপ্তাহের চেয়ে সাত হাজার ৫৮১টি কম। একই সময় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছয় হাজার ৫৭৩ জন, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ২৩ শতাংশ কম। এ পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩৪৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত এক সপ্তাহে পূর্ববর্তী সপ্তাহের চেয়ে ৪৯ জন কম রোগীর মৃত্যু হয়, অর্থাৎ পূর্ববর্তী সপ্তাহের তুলনায় ২৩ শতাংশ মৃত্যু কমেছে।
জেলাওয়ারি হিসেবে দেখা গেছে, ঢাকা জেলায় সর্বাধিক পাঁচ লাখ ২০ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৯ হাজারেরও বেশি রোগী শনাক্ত হয় চট্টগ্রাম জেলায়। শীর্ষ করোনা সংক্রমিত জেলাগুলোর মধ্যে নোয়াখালীতে সবচেয়ে কম ২২ হাজার ৮৮০ জন রোগী শনাক্ত হয়।
ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, এ মুহূর্তে গোটা বিশ্বে করোনা পরিস্থিতি অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেকখানি নিয়ন্ত্রণে। এ স্বস্তিকর অবস্থা ধরে রাখতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে ও গত এক সপ্তাহে ভারতে এক হাজার ৯৭১ জন, থাইল্যান্ডে ৮৩৪ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ৭৬৮ জন এবং বাংলাদেশে ১৬৩ জনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/জেডএইচ/জিকেএস